The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে যা আমাদের জানা দরকার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছর রাজশাহী ছাড়া অন্য কোথাও নিপাহ ভাইরাস শনাক্তের খবর আসেনি। রাজশাহীর ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে পরীক্ষা করেন।

প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে যা আমাদের জানা দরকার 1

দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয় মেহেরপুরে ২০০১ সালে। গত ২২ বছরে দেশের ৩২টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রায় ৪১টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়। তবে এই নথির বাইরেও ঘটনা থাকতে পারে। শুরু থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে সরকারিভাবে ৩২৫ জনের দেহে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়।

৩২৫ এর মধ্যে ২৩০ জনই মারা যান। গত বছর ২০২২ সালে নিপাহ ভাইরাসে ৩ জন আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে দুজনকেই বাঁচানো যায়নি। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নওগাঁর, অপরজন ফরিদপুরের। হিসাবের এই ধরন থেকে বলা যায়, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭১ শতাংশের মৃত্যু ঘটে।

২০ জানুয়ারি সকালে ৭ বছরের শিশু সোয়াদ খেজুরের রসের স্বাদ নেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার জ্বরও বাড়তে থাকে, সঙ্গে খিঁচুনি হয়। একসময় শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। বিকেলের দিকে তাকে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন সকালে শিশুটিকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। দ্রুত অবস্থা খারাপ হতে থাকার পর চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। তারা নিপাহ ভাইরাসের পরীক্ষা করান। পরীক্ষাতে নিপাহ ভাইরাস ধরা পড়ে। এই শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। আক্রান্ত হওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ২৩ জানুয়ারি শিশুটি মারা গেছে।

এ বছরে (২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত) রাজশাহী মেডিকেলেই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হলো। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেখানে মারা যান গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা এলাকার জনৈকা নারী।

এ বছরে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত এবং প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রাজশাহী ছাড়া অন্য কোথাও নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হতে দেখা যায়নি। রাজশাহীর ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা স্বপ্রণোদিত হয়েই পরীক্ষা করেছেন। অন্য কোথাও হয়তো সেভাবে পরীক্ষা করা হয়নি বা পরীক্ষা করার কোনো সুবিধাও নেই। উপজেলা পর্যায়ে এমনকি জেলা পর্যায়েও নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেই। একজন সাবেক সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘সন্দেহ হলে কিংবা কেস স্টোরি শুনে খেজুরের রস পানের ঘটনা জানা গেলেই আমরা দেরি না করে রোগীকে রেফার করে দিই।’

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের লক্ষণের সঙ্গে অন্য নানা স্নায়ু ও স্নায়ুবিক রোগের আলামতগত মিল থাকায় মাঠপর্যায়ের অনেক চিকিৎসকের পক্ষে খুব সহজে রোগটি ধরা সম্ভব হয় না। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, গা ব্যথা, ঘাড় এবং পিঠ শক্ত হয়ে যাওয়া, বমিবমি ভাব হওয়া ও গলাব্যথাও হতে পারে। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তি প্রলাপ বকাও শুরু করতে পারে। এই ধরনের রোগী আলো মোটেও সহ্য করতে পারে না। কখনও কখনও অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতির অবনতি হলে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

খেজুরের রস থেকেই কী নিপাহ ভাইরাস সংক্রমিত হয়?

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার যে সকল দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের আলামত পাওয়া গেছে, সেইসব দেশে (যেমন- মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর) খেজুরের কাঁচা রস পানের তেমন কোনো প্রচলনই নেই। গবেষকরা বলছেন যে, শাকসবজি, ফলমূল থেকেও নাকি নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে। বাগানের কিংবা বাজার থেকে আনা ফলমূল, শাকসবজি ভালো করে না ধুয়ে খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। বিশেষ করে প্রাণী কিংবা পাখির আংশিক খাওয়া কোনো কিছুই কখনও খাওয়া যাবে না। অনেকেই আদর করে পোষা পাখি কিংবা প্রাণীকে মুখের খুব কাছে নিয়ে খাইয়ে থাকেন। ফেসবুকে দেওয়ার জন্যই হোক কিংবা অন্য কোনো কারণেই হোক এটা অনুসরণ করা মোটেও ঠিক নয়। বাদুড় ছাড়াও সংক্রমিত শূকর ও সংক্রমিত মানুষের মাধ্যমে এটা একজনের থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়াতে পারে।

ইতিপূর্বে বাংলাদেশে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণের অনেক ঘটনার কথা জানা যায়। ‘ফরিদপুর সংক্রমণ’ এর সময় (২০০৪ সালের ঘটনা) ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে এনআইভি কিংবা নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ছবিটা খুব স্পষ্টভাবেই ফুটে ওঠে। রোগীর যত্ন নেওয়া চার ব্যক্তি- যেমন মা, ছেলে, খালা ও একজন প্রতিবেশী চিহ্নিত রোগীর প্রথম অসুস্থতার ১৫-২৭ দিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোগীর আক্রান্ত খালাকে কাছাকাছি গ্রামের যে হুজুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেন, তিনিও ১৩ দিন পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। গ্রামের সেই হুজুরের অসুস্থতা যখন গুরুতর আকার ধারণ করে, তার অনেক আত্মীয় ও অনুসারীরা তাকে তার বাড়িতে দেখতে গিয়েছিলেন। সেইসব দর্শনার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে ২২ জনের মধ্যে নিপাহ সংক্রমণ ঘটে।

জানা যায়, আক্রান্ত অনুসারীদের এই অনুগামীদের মধ্যে আবার একজন অসুস্থ হওয়ার পর নিজের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর সেখানে তার থেকে আরও ৩ জন সংক্রমিত হন (যাদের মধ্যে দু’জন পরিবারের সদস্য, যারা তার সেবাশুশ্রূষা করেছিলেন ও একজন বন্ধু, যিনি তাকে দেখতে এসেছিলেন)।

পরে ওই ব্যক্তির অবস্থাও অবনতি হলে তাকে যে ভ্যানচালক হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করে, তিনিও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন ফরিদপুরের ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, একজন থেকে প্রায় ৩৪ জনের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলো। এদের অনেকেই মারা গেছেন।

একজন সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে ৫টি বিভিন্ন স্তরে থাকা এইসব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার দৃষ্টান্ত করোনার চেয়েও ভয়াবহ বলে মনে করা হয়। এই রকম পরিস্থিতিতে খেজুরের রস থেকে দূরে থাকার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা এবং শুশ্রূষার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে মাস্ক পরা এবং ব্যক্তিগত হাইজিন বজায় রাখা খুবই জরুরি একটি বিষয়। পরিবারের সবাইকে অনেকটা কোভিডকালীন সতর্কতা মেনে চলতে হবে। নিপাহ ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে হলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রে অবশ্যই লাগাম টানতে হবে, শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। (সূত্র : TRANSMISSION OF HUMAN INFECTION WITH NIPAH VIRUS Authors Stephen P. Luby, Emily S. Gurley, and M. Jahangir Hossain).

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী জানা যায়, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আকারের নিপাহ সংক্রমণের ঘটনাটি ঘটে ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেই বছর ফরিদপুরে নিপাহ ভাইরাসে ৩৫ জন আক্রান্ত হন, যারমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনার পরপরই আইইডিসিআর ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) সম্মিলিতভাবে ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে নামে। তখন এতে অর্থসংস্থান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।

অর্থাৎ এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, আমরা সেইসব শিক্ষা আমলেই নিইনি। এবারের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে লব্ধ জ্ঞান কিংবা শিক্ষার প্রচারও নেই। এমনকি মাঠপর্যায়ে চিকিৎসকরা অনেকেই জানেন না যে, ফরিদপুর থেকে আমরা কী শিখলাম। জানলে কে কয়জন মারা গেছেন তাদের পরিবারের সদস্য এবং সেবাদানকারী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হতো। আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নেওয়ার বিলাসিতা আমাদের কী সাজে?

শিশু সোয়াদের আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর যে ঘটনাটি হাসপাতালের সূত্র ধরে পত্রিকায় উঠে এসেছে সেটা পড়লে মনে হবে সকালে রস পান করে শিশুটি সংক্রমণের শিকার হন। অথচ বিজ্ঞান বলছে যে, খেজুরের রস পানের ৮ থেকে ৯ দিন পর সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে তাকে। ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৬ হতে ১১ দিন পরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। যদি প্রকাশিত খবরের বর্ণনা ঠিক হয়ে থাকে, তবে সেটাও আমলে নিয়ে নতুন করে পর্যবেক্ষণে যাওয়া দরকার।

তবে আশার কথা, আইসিডিডিআরবি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ, রোগের সংক্রমণের ধরন ও মারাত্মক সংক্রমণের বিরুদ্ধে থেরাপিউটিকস ও ভ্যাকসিন তৈরিতে নতুন তথ্য এবং উপাত্ত সংগ্রহে বিশ্বের দীর্ঘতম নিপাহ ভাইরাস সার্ভিল্যান্স পরিচালনা করছে। সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরিচালিত এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি সফল প্রচেষ্টা বলা যায়। আশা করা যায় যে, শীঘ্রই এই উদ্যোগ নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসার দিশা দিতে পারবে। রক্ষা করতে পারবে বহু মানুষের জীবন।

খেজুরের কাঁচা রস, বাদুড়ে খাওয়া ফলমূল থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। বাজারের কিংবা বাগানের (ছাদবাগানসহ) সব ফলমূল, শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে তবেই খেতে হবে। কারণ জনসচেতনতা বাড়ানোই একমাত্র ভরসা। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।

Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali