কোন খাদ্য রান্নার পরেই খেয়ে নিতে হয়: বাসি খেলেই হতে পারে ক্ষতি?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাসি খাবার মানেই যে খারাপ, তা কিন্তু নয়। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো বাসি খেলে সমস্যাও হতে পারে। আজ জেনে নিন কি কি সেই সব খাবার।

অফিসে যাওয়ার সময় অনেকেই তাড়াহুড়ো এড়াতে আগের রাতে রান্না সেরে রাখেন। বেরোনোর আগে ফ্রিজ থেকে সেই খাবার বের করে গরম করে নেন। তাতে সময়ও বাঁচে। আবার ব্যস্ততাও কম হয়। বাসি সব খাবার খাওয়ায় যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তা নয়। আগের রাতের বেঁচে যাওয়া খাবার অনেকেই খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, বাসি খাবার অর্থই যে তা খারাপ এমন নয়। তবে কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলো বাসি খেলে সমস্যাও হতে পারে। অনেকেই না জেনে সেগুলোও খেয়ে নেন। তাতে করে দেখা দেয় সমস্যা। আজ জেনে নিন কোন খাবারগুলো ভুলেও কখনও বাসি খাবেন না।

ডিম

আগের রাতে রান্না করা ডিম কষা পরের দিন গরম করে খেলে হয়তো সময় কিছুটা বাঁচবে, তবে শরীর কী ভালো থাকবে? ডিমে সাধারণত সালমোনেলা নামক ব্যাক্টেরিয়া থাকে। যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। তার উপর সেই ডিম যদি হয় বাসি, তাহলে সমস্যা বাড়তে পারে।

বিট

বিটে নাইট্রিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যখন রান্না করা হয় তখন আগুনের তাপ পেয়ে এই অ্যাসিডটি পরিণত হয় নাইট্রাইটেসে। রান্না করার সঙ্গে সঙ্গেই খাবার খেয়ে নিলে তাতে কোনো সমস্যা হয় না। তবে দীর্ঘক্ষণ রেখে দেওয়ার পর খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পালং শাক

পালং শাকে নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই পালং শাক যখন রান্না করা হয়, রাসায়নিক এই উপাদানটি পরিণত হয় কার্সিনোজেনিক নাইট্রোসেমাইনে। পালং শাক এমনিতেই উপকারী। শরীরের অনেক রোগবালাই সারাতে পালং শাকের জুড়ি নেই। তবে বাসি খেলে এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শরীরে বিরূপ প্রভাবও ফেলতে পারে।

মুরগির মাংস

অনেকটা ডিমের মতোই কাঁচা মুরগির মাংসেও সালমোনেলা থাকে। রান্নার পরই এই ব্যাক্টেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। গরম থাকতে থাকতে খেয়ে ফেললে শরীরের উপর সরাসরি কোনো প্রভাব পড়ে না। তবে এক দিন পর খেলে সমস্যাও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।