দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাওয়া-দাওয়া একেবারে বন্ধ করে বা কঠোর ডায়েট করে নয়, আপনাকে ওজন কমাতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে। কী করলে পাওয়ার যাবে মনের মতো ফল?
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এক মাসে ৩ কেজি কমানো স্বাস্থ্যসম্মত। অর্থাৎ হাতে যদি ৫ মাস সময় থাকে, তবে ৮-১০ কেজি কমানোই হবে লক্ষ্য। প্রত্যেক মেয়ের শারীরিক গঠন আলাদা। বিয়ের কনেদের নজর থাকে পেট, উরু এবং নিতম্বের মেদ কমানোর দিকে। তাই এমন ব্যায়াম আপনাকে বাছতে হবে, যাতে করে কম সময়ে বেশি ফল পাওয়া যায়। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রাথমিকভাবে ৬-৭টি ব্যায়াম আপনাকে বেছে নিতে হবে। স্কোয়াট, রোয়িং, হ্যামকার্ল ও লঞ্জ। এই ব্যায়ামগুলো নিয়ম করে করলে অনেকটা ওজন ঝরানো সম্ভব হবে। পেটের অংশের মেদ কমানোর জন্য কোর এক্সারসাইজ় যেমন- প্ল্যাঙ্ক, সাইড প্ল্যাঙ্ক, ব্রিজও করা যেতে পারে। তবে কেবল শরীরচর্চা করলে হবে না, ব্যায়ামের পাশাপাশি জীবনযাপন ও খাওয়া-দাওয়াতেও পরিবর্তন আনতে হবে ।
কোন অভ্যাস ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে আরও তরান্বিত করবে?
# রাতের খাবার যতো দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলতে হবে। ঘুমোনোর অন্তত আড়াই হতে ৩ ঘণ্টা পূর্বে খাবার খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
# নিয়মিত শরীরচর্চা করার পাশাপাশি দিনে অন্তত আধা ঘণ্টা জোরে হাঁটার অভ্যাসও করতে হবে। এতে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া আরও তরান্বিত হয়।
# এক সঙ্গে ভারি খাবার না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে ৫ থেকে ৬ বার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
# ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া শুরু করলে সব থেকে আগে বেশি করে পানি খাওয়া শুরু করতে হবে। তা না হলে আপনি সমস্যায় পড়বেন। দিনে অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস করে পানি খেতে হবে।
কোন খাবার খাওয়া বন্ধ করবেন?
জ্যাম-জেলি, মার্জারিন, মাখন, মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিপস, চকোলেট, ফুটপথের ভাজাভুজি, হাই ক্যালোরিযুক্ত ফল (যেমন- কলা, আম, সবেদা, আতা, কাঁঠাল), বড়া, ভাজা, আলুর কোনও পদ, নরম পানীয়, প্যাকেটজাত ফলের রস খাওয়া আপনাকে বন্ধ করতে হবে। অপরদিকে ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে ইচ্ছে করলে আখরোট, কাজুবাদাম, চিনেবাদাম খেতে পারেন, তবে ২-৪টির বেশি কিন্তু নয়। এই সময় অবশ্যই লো-ক্যালোরি ডায়েট আপনাকে মেনে চলতে হবে, তাহলেই ফল পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।