দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা মনে করেন, মাথা ঘোরানো হতে পারে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিগড়ানোর একটি লক্ষণ। এমন হলে কখন সতর্ক হবেন?
এমন অবস্থা হলে আগাম সঙ্কেত দেয়, তবে সচেতনতার অভাবে আমরা বুঝতে পারি না সেই সব উপসর্গগুলো। মাথা ঘোরানো হলো তেমনই একটি উপসর্গ। যতোক্ষণ না গুরুতর কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে, ততোক্ষণ মাথা ঘুরলেও তাকে গুরুত্ব না দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণ মাথা ঘোরানোর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুতর নানা রকম সমস্যা। চিকিৎসকরা মনে করেন, মাথা ঘোরানো হতে পারে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিগড়ানোরই লক্ষণ। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ হতে পারে মহা বিপদের সঙ্কেত।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, হাইপারগ্লাইসিমিয়া (অর্থাৎ রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে) বা হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে দুই ক্ষেত্রেই মাথা ঘোরানোর মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাবও হয়। যে কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণেও অনেক সময় মাথা ঘোরাতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে শরীরে কাজ চালানোর মতো শক্তির অভাবও হয়। সে ক্ষেত্রেও ক্লান্তিভাব, মাথা ঘোরানোর মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই উপসর্গের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিসের অন্যান্য লক্ষণসমূহ
# অতিরিক্ত পানি তেষ্টায় জিভ শুকিয়ে আসে। এতোটাই প্রবল হয়ে ওঠে এই সমস্যা যে, রাতের মধ্যেও বার বার ঘুম ভাঙে পানির প্রয়োজনে। শরীরে হঠাৎ এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ডায়াবেটিস হতে পারে। এই অসুখে শরীরের কোষ থেকেই ফ্লুইড নেয় কিডনি। যে কারণে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। এই অসুখে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। তাই সতর্ক হতে হবে।
# ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তিতেও। ঘোলাটে দেখা বা কোনও লেখার লাইন ভুল দেখা কিংবা ভুল পড়ার সমস্যা তৈরি হলে সচেতন হতে হবে।
# রক্তের অতিরিক্ত শর্করা বের করে দেওয়ার জন্য শারীরিক প্রক্তিয়া কিডনিতে চাপ দেয়। যে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাবও পায়।
# হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা এবং সঙ্গে তা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শরীরের কোনও অংশে ঘা শুকোতে দেরি হলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে।
# ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা না করেই কি ওজন কমে গেছে? আবার অনেকের ক্ষেত্রে অত্যধিক ওজন বেড়েও যেতে পারে। তাই হঠাৎ করে ওজন কমলে কিংবা বাড়লে সতর্ক হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।