দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই বলে থাকেন- বেশি ঘুমোলে নাকি মানুষ মোটা হয়ে যায়। এই ধারণাটি কী আসলেও ঠিক? নাকি পর্যাপ্ত ঘুম ওজন ঝরাতে আরও সাহায্য করে?
ওজন কমাতে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হয় আমাদের। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ থেকে শরীরচর্চা- খেয়াল রাখতে হয় সব কিছুতেই। তবে যদি কেও আপনাকে বলেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওজন ঝরিয়ে ফেলা যাবে, তার চেয়ে বড় সুখবর আর কিছু হতে পারে! তাহলে এটি কী আসলেও ঠিক?
কীভাবে সম্ভব?
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে মানসিক চাপের হরমোন- মানে কর্টিসলের ক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। বেশি মাত্রায় কর্টিসল শরীরে থাকলে তা আমাদের হজমশক্তির উপরেও প্রভাব ফেলে। শরীরের বিপাকহারও তখন কমে যায় এই সব কারণেই। বেশি রাত অবধি জেগে থাকলে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যেতে পারে। রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়েও যেতে পারে সে কারণে। তাই ওজনও বাড়তে বেশি সময় লাগে না।
ঘুমের মধ্যে কীভাবে ক্যালোরি ঝরাবেন?
# আপনি যদি ওয়েট ট্রেনিং করেন, তাহলে তা সকালের বদলে সন্ধ্যাবেলাও করতে পারেন। তাহলে শরীরের বিপাকহার শরীরচর্চার পর ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেশি থাকবে। তাই ঘুমের মধ্যেও তখন শরীরে ক্যালোরি বেশি খরচ হবে।
# বেশির ভাগ মানুষই রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমোতে গিয়ে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে না ঘুমোলেও বিছানায় গড়িয়ে ফোন ঘাঁটা শুরু করে দেন। এই অভ্যাস আপনাকে ছাড়তে হবে। খাওয়ার পর অন্তত ঘণ্টা দুয়েক না ঘুমোনো ভালো। তাতে খাবার হজম ভালো হবে। বিপাকহারও এতে বাড়ে। যে কারণে ঘুমের মধ্যে ওজন ঝরার কাজও শুরু হয়।
# শরীরচর্চা করার পর যদি ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে পারেন, তাহলে শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেরিয়ে যেতেও সাহায্য করবে। আমাদের শরীরে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণে খুবই কম থাকে। তবে এটি সক্রিয় থাকলে শরীরের বিপাকহার বেড়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্যালোরি ঝরতে পারে।
# গ্রিন টি শরীরের বিপাকহার বাড়াতেও সাহায্য করে। দিনে যদি ৩ কাপ চা খেতে পারেন, তারমধ্যে শেষ কাপটি ঘুমের আগে যদি খান তাহলে ঘুমের মধ্যে ৩.৫ শতাংশ বেশি ক্যালোরি ঝরবে। তাই রাতে খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুমোনোর মাঝে এক কাপ গ্রিন টিতে চুমুক দিতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।