দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌরজগতের কেন্দ্র হলো সূর্য। মহাবিশ্বের লাখো-কোটি নক্ষত্রের মধ্যে এটিই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম নক্ষত্র। আর এর বয়স হলো ৪৫০ কোটি বছর। পৃথিবী থেকে যার গড় দূরত্ব হলো ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার।
আলোর বেগে চললে এই দূরত্ব পেরোতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৮ মিনিট। এতো দূরে থেকেও মহাকর্ষ বলে পৃথিবীসহ আরও ৭টি গ্রহকে নিজের শাসনে বেঁধে রেখেছে এই সূর্য। নক্ষত্রটি না থাকলে কী হতে পারতো, সেটি ভাবাও এক কথায় মুশকিল।
সূর্য না থাকলে আমাদের সৌরজগতে কোনও আলো থাকতো না, উষ্ণতা থাকতো না, সেই সঙ্গে পৃথিবীতে থাকতো না প্রাণের বিন্দুমাত্র কোনও স্পন্দন। এই নক্ষত্র থেকে আসা আলো ও তাপের কারণেই পৃথিবীতে জীবন টিকে রয়েছে।
সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু এই সূর্যকে নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিস্ময়ের যেনো শেষ নেই। সেই সূর্যের নতুন একটি অবস্থান বিজ্ঞানীদের কপালে কিছুটা হলেও ভাঁজ ফেলেছে। এই নক্ষত্রটির একটি বিশাল অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে তার উত্তর মেরুতে টর্নেডোর মতোই ঘূর্ণি সৃষ্টি করেছে।
এই অসাধারণ ঘটনাটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা পড়ে বলে দাবি করা হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর দুই মেরুস্থানে একটি বিশাল স্থানজুড়ে নিম্নচাপ রয়েছে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, ঠাণ্ডা হাওয়া ঘড়ির উল্টো দিকে ঘূর্ণন করলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাকেই ‘পোলার ভর্টেক্স’ বলা হয়। সাধারণ, গ্রীষ্মকালে দুর্বল হয়ে পড়ে এটি। তবে শীতে এর শক্তি আরও বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনায় হতবাক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও।
সম্প্রতি মহাকাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতা ড. তামিথা স্কোভ টুইটারে বিষয়টি শেয়ারও করেছেন।
অগ্নিশিখা নির্গত করে থাকে সূর্য। এটি কখনও কখনও পৃথিবীর যোগাযোগকে প্রভাবিতও করে। তাই বিজ্ঞানীরা নক্ষত্রটির অভ্যন্তরীণ এই পরিবর্তন নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।
ড. স্কোভ গত সপ্তাহে এক টুইটে বলেন, “যেমন মেরু ঘূর্ণির কথাই ধরুন! উত্তরের অংশে একটি অংশ নিজের পৃষ্ঠ হতে ভেঙে গেছে ও এখন আমাদের নক্ষত্রের উত্তর মেরুর চারপাশে একটি বিশাল ঘূর্ণিতে এটি সঞ্চালিত হচ্ছে।”
নাসার দেওয়া তথ্যানুযায়ী জানা যায়, এর আগেও সূর্যের পৃষ্ঠ হতে বড় উজ্জল অংশ বের হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে নতুন এই ঘটনাটি বিজ্ঞানী মহলকে একেবারে স্তব্ধ করে দিয়েছে।
ড. স্কোভ পরবর্তী একটি টুইটে বলেছেন যে, ‘#SolarPolarVortex-এর আরও পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায় যে, আনুমানিক ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশে মেরুকে প্রদক্ষিণ করতে উপাদানটির জন্য প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এর অর্থ হলো এই ঘটনায় বাতাসের অনুভূমিক গতি ছিল সেকেন্ডে ৯৬ কিলোমিটার কিংবা সেকেন্ডে ৬০ মাইল।”
ইউএস ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক রিসার্চের সৌর পদার্থবিদ স্কট ম্যাকিনটোশ কয়েক দশক ধরেই সূর্য পর্যবেক্ষণ করে আসছেন।
স্কট ম্যাকিনটোশ স্পেস ডটকমকে বলেছেন, সূর্যের অংশ ভেঙে এভাবে ‘ঘূর্ণি’ হওয়া ও সৌর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে চাবুকের মতো পড়ার মতো ঘটনা তিনি আর কখনও দেখেননি।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বর্তমানে এই অদ্ভুত ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছেন। তারা এই সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করছেন। তথ্যসূত্র : স্পেস ডটকম, ডেইলি মেইল, মেট্রো, সায়েন্স অ্যালার্ট, বিজনেস ইনসাইডার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।