দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের কাশি এক বার শুরু হলে আর সহজে সারতে চায় না। তবে কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকারও পেতে পারেন।
এই সময় ঠাণ্ডা লাগা, গলা খুসখুসে, জ্বরে নাজেহাল অনেকের। সাবধানে থেকে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেয়ে বাকি সমস্যাগুলো সারিয়ে তোলা গেলেও কাশি কিছুতেই যেনো পিছু ছাড়ছে না। ওষুধ, কাফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিক, গার্গল করা, গরম পানি খাওয়া- সব রকমভাবে চেষ্টা চালিয়েও যেনো কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশতে কাশতে পাঁজর ব্যথা হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয় অনেক সময়। তবে কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া টোটকা আজ জেনে নিন।
মধু
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে সমৃদ্ধ মধু বুকে জমে থাকা কফ সহজেই বার করে আনতে সাহায্য করে। গরম পানিতে দু’চামচ মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমোনোর পূর্বে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
রসুন
অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ রসুন কাশি কমাতেও দারুণ উপকারী। একটি রসুন কুচিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। তাছাড়াও গরম ভাতে খেতে পারেন কাঁচা রসুন। এতে কাশি কমবে দ্রুত।
আদা
ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে আদার উপকারিতাও একেবারে কম নয়। অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ আদা মুহূর্তেই কমিয়ে দিতে পারে সর্দিকাশি। আদা থেঁতো করে গরম পোনিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন। পানিতে যদি খানিকটা গোলমরিচ মিশিয়ে নেন, তাহলে আরও বেশি উপকারও পাবেন।
ভাপ নেওয়া
ঠাণ্ডা লাগলে চিকিৎসকরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে এসে তা বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ নেওয়া ছাড়াও নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।