দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে নানা ধরনের প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সেই ভয় থেকে শিশুরা চিকিৎসকদের কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। কীভাবে ভয় দূর করবেন আপনার শিশুর?
অন্য সময় কান্নাকাটি করার যেনো বালাই নেই। তবে যেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ওঠে, তখনই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে সে একেবারে বমি করে ফেলার জোগাড় করে। সন্তান জন্মের পর থেকে নির্দিষ্ট একটা বয়স পর্যন্ত নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ হলো, এই সময় শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে নানা রকম প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। মূলত সেই ভয় হতেই শিশুরা চিকিৎসকদের কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। তাদের ভুলিয়ে চিকিৎসকের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে গেলে কিছু বিষয় মাথায় রাখাটা জরুরি।
শিশুকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে তাকে বুঝতেই দেবেন না, তাকে আসলে কোথায় যেতে হবে। অন্য পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই তাকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।
মজার মজার গল্প করুন
চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার দিন, ভয় দেখাবেন না। নিজেরা একেবারেই হালকা মেজাজে থাকুন। শিশুর সঙ্গে মজার গল্প করুন। মনের ভিতর যদি কোনও রকম ভয়ের উদ্রেক হয়, তাহলে তা দূর করার চেষ্টাও করুন।
শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন
চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এই ভয়ে অনেক শিশুই অনেক সময় অশান্ত হয়ে পড়ে। তখন সারা ঘর দৌড়ে বেড়াতে থাকে, জিনিসপত্র ছোড়াছুড়িও করতে পারে অনেক সময়। তাই যথাসম্ভব তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে ঘুম পাড়িয়েও রাখতে পারেন।
সন্তানের কাছেই থাকুন
চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তার কাছে থাকার চেষ্টাও করতে হবে। ভয় পেলে কিংবা কান্নাকাটি করলে সন্তান আপনার সাহচর্য আশা করবে। তাই তাকে একা ছেড়ে দেওয়া আপনার মোটেও উচিত হবে না।
খেলনা কিংবা ছবির বই সঙ্গে রাখুন
শিশুদের ভুলিয়ে রাখার জন্য সঙ্গে তাদের প্রিয় খেলনা, ছড়া বই কিংবা ছবির বইও রাখতে পারেন। যেগুলো হাতে পেলে সাময়িকভাবে হলেও তার মন অন্যদিকে থাকবে। এতে করে চিকিৎসকের কাজও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।