দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবনধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটালে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। এজন্য প্রতিদিন আপনার খাবারে কী পরিবর্তন আনবেন?
আগে জানতে হবে কেনো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। সাধারণত দেখা যায় বেশির ভাগ সময় এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করলে এই সমস্যাটি আরও প্রকট হয়।
প্রতিদিনই শৌচাগারে অনেক বেশি সময় লাগে। এই নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, কখনও নানা অভিযোগও শুনতে হয়। এই অভিজ্ঞতা কম-বেশি প্রায় সব বাড়িতেই রয়েছে। অনেকেই মাঝে-মধ্যে কমোডে তাজা রক্ত দেখে আতঙ্কও হন। তবে অনেকেই এইসব সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতেই চান না। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা কিছু দিনের আবার কারও কারও ক্ষেত্রে মাস ছয়েকের বেশি থাকে। যাদের এটা দীর্ঘদিন থাকে, তাদের জন্য এটা ভীষণ বিরক্তিকর। তবে জীবনধারার বেশ কিছু পরিবর্তন আনলে বাগে আনা যাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তাহলে আপনি কী করবেন?
করতে হবে কায়িক পরিশ্রম
বেশির ভাগ সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করার কারণে। তাই এদিক-ওদিক চলাফেরা করা কিংবা কায়িক পরিশ্রম করাটা জরুরি। খাবার খাওয়ার পর প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লিফ্টে বেশি না চড়ে চেষ্টা করুন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার। সপ্তাহের শেষে ছোটখাটো খেলাধুলোও করতে পারেন। মূল বিষয়টি হচ্ছে শরীরের গতিবিধি বাড়ান কিংবা কায়িক পরিশ্রম করুন। যোগাসন শরীরের পেশিকেও প্রসারিত করে। তাই প্রতিদিন সকালে যদি বেশ কিছু যোগাসন করেন তাহলে উপকার পাবেন। প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫ মিনিট সময় দিন, তাহলেই যথেষ্ট। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেই বজ্রাসন, ভুজঙ্গাসন, হলাসন, পবনমুক্তাসন ও পশ্চিমোত্তানাসন করতে পারেন।
ফাইবারযুক্ত খাবার
খাদ্যতালিকায় কেবল মাছ-মাংস রাখেন? তাহলে সমস্যা বাড়বে। প্রতিদিন নিয়ম করে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন পাতে রাখুন অন্তত ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ফাইবারযুক্ত খাবার। শাক-সব্জি, রুটি, ফল এগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আপনিতেই কমবে।
পানি
যাদের কম পানি খাওয়া অভ্যাস, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। তাই বেশি করে পানি খেতে হবে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়তে পারে। পানি খেলে অনেকটাই নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে এই সমস্যা হতে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।