দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুখের ক্যান্সারের সাধারণ কিছু উপসর্গও রয়েছে, যা অবহেলা করলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে মারাত্মক। তাহলে আপনি কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
সারা বিশ্বেই মুখের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। অথচ চেষ্টা করলে এটি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। গুটখা, খৈনি, পানমশলা, সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনছে মারণ এই রোগের ঝুঁকি। অনেকেই জেনেবুঝেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা যাবে। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন সবচেয়ে বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত এবং নরম তালু, গলার নীচের অংশ- মুখের এইসব অংশই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি। তামাকজাত পদার্থ ছাড়াও মদ্যপান মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও মুখের ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে, দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। মুখের ক্যান্সারের সাধারণ কিছু উপসর্গও রয়েছে, যা অবহেলা করলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মকভাবে। কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন? বিষয়টি আজ জেনে নিন।
# গালের ঠিক নীচের দিকে বা গলায় কোনও ফোলা অংশ যা বাইরে থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তবে কোনও ব্যথাবেদনা নেই বললেই চলে- এমন উপসর্গ দেখলে সতর্কও হতে হবে।
# যেমন মুখের ভেতরে কোনও ব্যথাহীন ফোলা অংশ রয়েছে, যা ক্রমশই বাড়ছে বা মুখের ভিতরে মাংসপিণ্ড জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে বড় আকারও নিচ্ছে, এমনটাও কিন্তু হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ।
# মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে কিংবা লালচে ছোপ ছোপ ভাব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। বিশেষত: তিনি যদি ধূমপায়ী হন বা তামাকজাতীয় পদার্থের প্রতি আসক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে চিন্তা আরও বেশি হবে। লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে ছোপ হলো ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এই সমস্ত বিষয়গুলো ভালো মতো খেয়াল রাখতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।