দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসে আমরা অজানতেই কিডনি সমস্যা সৃষ্টি করছি। কোন কোন অভ্যাস থেকে বাড়ে এই কিডনির সমস্যা?
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশই হলো এই কিডনি। সুস্থ থাকতে হলে কিডনিকে অবহেলা করা যাবে না। নয়তো শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। বড় কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে তাই সতর্ক থাকাটা জরুরি। কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেওয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যাবে কিডনি। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই পৃথক করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগই পান না। তাতেই বাড়ে বিপত্তি। অজানতেই এমন কিছু দৈনিক অভ্যাসে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ি যা আরও বাড়িয়ে দেয় কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনাকে।
কোন অভ্যাস থেকে বাড়ে কিডনির সমস্যা?
# পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতোটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে পানি খান।
# কিডনি সংক্রমণের অন্যতম কারণই হলো প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে কিংবা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ আসলেও তা চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে বিপদ আসতে পারে। যে কারণে মূত্রনালিতে চাপ বাড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিডনি। শরীরের বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার কারণে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণও ঘটে।
# উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে থাকে। তাই সব সময় চেষ্টা করুন ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
# মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের মধ্যেই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না।
# অনেকেই প্রতিদিন রান্নায় বেশি লবণ খান। রান্নায় লবণ কম হোক কিংবা নাই হোক, খাওয়ার পাতে একটু কাঁচা লবণ না নিলেই হয় না অনেেকের। এই অভ্যাস কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। কিডনিকে ভালো রাখতে হলে সবার আগে এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।