দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মহারাষ্ট্রে এ বছর পেঁয়াজের অতিরিক্ত ফলনের কারণে কৃষকরা খরচের অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না।
ভারতের মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বাড়তি ফলনের কারণে এই বছর পেঁয়াজের দাম একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। দাম এতোটাই কমেছে যে, কৃষকরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মাত্র দু-তিন রুপিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন অবস্থায় ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের ফসল। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এমন পরিস্থিতির কারণে অনেক কৃষক ক্ষেতেই তাদের ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই বছর আলু, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির ফসল নষ্ট করে ফেলছেন কৃষকরা।
এই বছর মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের ফলন এতো বেশি হয়েছে, যে কৃষকরা প্রতি কেজি মাত্র দুই কিংবা তিন টাকা দর পাচ্ছিলেন দু’দিন আগে পর্যন্ত। চাষের খরচ তো তাতে উঠছে না, উল্টে আড়তে পৌঁছে দিতে গেলে তাদের লোকসানের বোঝা আরও বাড়ছে। তাই ক্ষেতেই পেঁয়াজ নষ্ট করে ফেলছেন কৃষকরা।
মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার কৃষক কৃষ্ণ ডোংরে এবার সপরিবারে তার পেঁয়াজ চাষের জমিতে হোলিকা দহন ‘অনুষ্ঠান’ করেন। তার সেই ‘অনুষ্ঠান’-এর ছবিসহ খবর বেশ কিছু জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশ পেয়েছে। সামাজিক-মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল সেই ‘দহন’-এর ছবি।
একজন কৃষকের পারিবারিক ‘অনুষ্ঠান’ জাতীয় সংবাদপত্রে উঠে আসার কারণই হচ্ছে, তিনি মূলত খড়কুটার বদলে ‘হোলিকা দহন’ করেছেন নিজের ক্ষেতের প্রায় ১৫ হাজার কেজি পেঁয়াজ পোড়ানোর মাধ্যমে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর বাজেটে মার্কেট ইন্টারভেনশান স্কিম কিংবা এমআইএসে অর্থ বরাদ্দ করে। ওই অর্থ দিয়ে এরকম পরিস্থিতিতে কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে ফসল কিনে নিয়ে থাকে সরকার। গতবছর ওই খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয় দেড় হাজার কোটি টাকা, এ বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীথারামন হাস্যকর রকমের একটা বরাদ্দ রেখেছেন মাত্র এক লক্ষ টাকা!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।