দক্ষিণ সুদান চার বছর ধরে বন্যার সঙ্গে লড়াই করছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলছে তীব্র খরা, কয়েক মাস ধরে কোনো বৃষ্টিই নেই। অথচ বন্যাকবলিত অবস্থায় রয়েছে দক্ষিণ সুদান।

এক বা দুই দিন নয় টানা ৪ বছর ধরে চলছে এই অবস্থা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে দক্ষিণ সুদানের এমন অবস্থা হয়েছে। দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফ্রান্স-২৪ এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার মানুষ পানির মধ্যে আটকা পড়ে আছেন এবং খুব কষ্টে বেঁচে আছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তরাঞ্চলের শহর বেনটুতে, সেখানে আজ জমি শুকনো থাকলে কাল তা আবার পানির নিচে চলে যায়। গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্ব পানি দিবসে দক্ষিণ সুদানের জনজীবনের এই অমানবিক দৃশ্য তুলে ধরে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

Related Post

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) গবেষণা মূল্যায়ন এবং পর্যবেক্ষণের প্রধান উইলিয়াম নাল জানিয়েছেন যে, বেনটু মূলত বর্তমানে একটি দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। কখনও পানি বুক সমান, আবার কখনও হাঁটু সমান। প্রধান ফসল শস্য, উদ্ভিজ্জ তেল এবং চিনাবাদাম পেস্ট (যা কলের পানি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে) উৎপাদনও প্রভাবিত হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়, দেশটির অন্য কোথাও এখানকার মতো বন্যার রেকর্ডই নেই।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নীল নদের অববাহিকায় অবস্থিত দক্ষিণ সুদানের প্রায় ১০ লাখ মানুষ বছরের পর বছর ধরে বন্যা কবলিত। দেশের মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের কোনো সরবরাহ নেই। লক্ষ লক্ষ গবাদিপশু মারা গেছে। আবাদি জমির ১০ শতাংশই জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে।

এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুদানের কিছু এলাকায় বন্যার পানি বছরের পর বছর এমনকি কয়েক দশক ধরে কমতেই পারে না। স্থানীয় বাসিন্দা ডুওপ ইয়ান জানিয়েছেন, মানুষ প্রতিদিনই স্থানান্তর হওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ বেনটু দিন দিনই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

থিংক ট্যাঙ্ক সতর্ক করে জানিয়েছে যে, দক্ষিণ সুদান জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেছে। যারা মূলত ধনী দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেও পারে না। বর্তমানে অনুদানেরও ঘাটতি রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ধনী দেশগুলোও তাদের সহায়তা বাজেট কমিয়ে দিয়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।

This post was last modified on মার্চ ২৩, ২০২৩ 11:11 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

গাজা এবং লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৫

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…

% দিন আগে

এখন থেকে বড় পর্দায় দেখা যাবে রাতের স্বপ্ন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…

% দিন আগে

রাজবাড়ী বড় মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে