দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে হাড়ের ক্ষয় রোধ করাসহ এমন হাজার সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে দুধে। তবে উপকার পেতে নিয়ম করে দুধ খাওয়া জরুরি।
শরীর ফিট রাখতে শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। যে খাবারগুলো শরীরের দেখাশোনা করে, তারমধ্যে অন্যতম হলো দুধ। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২ ও আরও অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদানে সমৃদ্ধ এমন সুষম খাবার সত্যিই কম রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোও থেকে হাড়ের ক্ষয় রোধ করাসহ এমন হাজার সমস্যার নিশ্চিত সমাধান লুকিয়ে রয়েছে এই দুধেই।
বাচ্চাদের ও প্রাপ্তবয়স্কদেরও নিয়ম করে দুধ খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি-এর মতো উপকারী উপাদানে ভরপুর দুধ হাড়ের গঠন আরও শক্তিশালী করে। শরীরের প্রতিটি কোষও সচল রাখে। শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করে এই দুধ। তাই বলা যায়, দুধ নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে দুধ খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মও রয়েছে। দুধ খাওয়ার অর্থই শরীরে যত্ন নেওয়া শেষ হয়ে গেলো না। কারণ হলো, দুধে থাকা পুষ্টিগুণ শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখাটা জরুরি।
তবে আপনি কতোটা পরিমাণে দুধ খাচ্ছেন ও কখন খাচ্ছেন, সেটি কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দুধ খাওয়ার সঠিক সময়ই হলো রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। তবে হজমের গোলমাল থাকলে রাতে দুধ না খাওয়াই ভালো। তবে এই নিয়ম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিন্তু খাটে না।
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার সঠিক সময়ই হলো সকালবেলা। সকালে বাচ্চারা বেশি চনমনে থাকে। দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার চেয়ে যদি দুধ খেয়ে খেলাধুলো করে, তাহলে বেশি উপকার হবে। একান্ত দরকার না হলে রাতে ঘুমনোর পূর্বে কখনও বাচ্চাদের দুধ খাওয়াবেন না।
অবশ্য বড়দের ক্ষেত্রে রাতে দুধ খাওয়ার কিছু বাড়তি সুবিধাও রয়েছে। রাতে দুধ খেলে ঘুম ভালো হয়। শরীরও তখন অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে। তাই বড়দের জন্য রাতে দুধ খাওয়ায় সবচেয়ে ভালো। দুধ খাওয়ার সময় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কী পরিমাণে দুধ খাবেন, সেটিও জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, সারা দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ কাপ দুধ খেতে পারেন। তার বেশি কিন্তু নয়। কারণ হলো দুধ শরীরের জন্য সত্যিই উপকারী। তবে বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সর দেওয়া দুধ খেলে বেড়ে যেতে পারে ওজন। দুধ খাওয়ার বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দুধের সঙ্গে মোটেও খাওয়া যাবে না। টক ফল, দই বা ভাজাভুজি কখনও দুধের সঙ্গে খাবেন না। তাহলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।