দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বেসিসের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসিসের অব্যাহত প্রয়াস তুলে ধরা হয়েছে। ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার), ২০২৩ তারিখে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বেসিসের এই বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
বেসিস নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ- হাবিবুল্লাহ নেয়ামুল করিম, একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও রাশাদ কবির।
সভায় বেসিসের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করা হয় এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের আয়-ব্যয় হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ করা হয়। পেশকৃত এইসব প্রতিবেদনের উপর সভায় উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আলোচনায় অংশ নেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান ভবিষ্যৎ উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশি বাজার সম্প্রসারণ, পুঁজি এবং আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, বেসিস সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গৃহিত পদক্ষেপসহ বেসিসের গত এক বছরে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিশেষ করে বেসিস সদস্যদের জন্য একটি ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সদস্যরা বেসিস নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
সভায় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “আমরা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রদর্শনী ১৭তম বেসিস সফটএক্সপো আয়োজন করেছি। যার মাধ্যমে আমরা তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ দেখিয়েছি। বর্তমানে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আছি। আমাদের আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বেসিস তার সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে সঙ্গে নিয়ে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। আমরা আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ শিল্পখাতের উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে চাই।” বেসিস সভাপতি বেসিসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এবারের বার্ষিক সাধারণ সভায় বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।