দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিবছরের ন্যায় এবারের ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ‘ইত্যাদি’র একটি বিশেষ পর্ব। যাতে দর্শকদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে বরাবরের মতোই এবারও থাকছে চমকপ্রদ নানা উপস্থাপনা।
আর সেই তালিকার ভেতর একটি বিশেষ পর্ব হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। এবারের ঈদ ইত্যাদির ‘দেশের গানটি’তে কণ্ঠ দিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। ইত্যাদির আমন্ত্রণে এই গানের চিত্রায়নে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন আমাদের ক্রীড়া জগতের গৌরব বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ও বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এই নারী ক্রীড়াবিদদের অনেকেই মফস্বল এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে এসে কঠোর লড়াই-সংগ্রাম করে নিজেদের এই অবস্থান তৈরি করেছেন। সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক বৈরিতাসহ নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে দেশের জন্য বয়ে আনেন অনেক বিরল সম্মান।
জানা যায়, খেলোয়াড়দের সবাই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে গানটির ধারণ কাজে সহযোগিতা করেছেন। মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার দর্শকের স্বতঃস্ফূর্ত করতালির মধ্যদিয়ে গানটি ধারণ করা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের দেখে পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকরা ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠেন। গানের কথা- ‘পতাকার লাল সুর্যটা মাগো, প্রতিটি হৃদয়ে জ্বেলে দাও’ শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন আকাশ মাহমুদ। ইত্যাদির প্রতিটি গান অনুষ্ঠানের মূল পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতি রেখেই নতুন কথা, নতুন সুরে তৈরি করা হয় বলে প্রতিটি গানই হয় বৈচিত্র্যময় এবং অন্য এক আলাদা স্বাদের। তাই দর্শকরা এইসব গানে খুঁজে পান নতুনত্ব। গানটির চিত্রায়নে শিল্পী এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোরিওগ্রাফিতে অংশ নেন শতাধিক নৃত্যশিল্পী। আর কোরিওগ্রাফি করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল। হানিফ সংকেতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত গানটির চিত্রায়ন, কথা এবং সুরের ভিন্নতা, জনপ্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠ মাধুর্য, নারী খেলোয়াড়দের এতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নৃত্যশিল্পীদের চমকপ্রদ কোরিওগ্রাফি, স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েক হাজার দর্শকের করতালি ও বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনি-সব মিলিয়ে এবারের ঈদ ইত্যাদিতে গানটি ভিন্নরকম আবহ সৃষ্টি করবে, আনবে এক ভিন্নমাত্রা।
যথারিতি ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। আর এটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদির এই বিশেষ পর্বটি ঈদের পরদিন একযোগে বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড-এর ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারিত হবে বলে জানা গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।