দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাও বাড়তে থাকে। এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে তেল মালিশ। কিন্তু মাথায় নয়, পায়ে মালিশ করলে উপকার পাবেন খুব দ্রুত! কীভাবে তেল মালিশ করবেন?
আপনি কী ক্লান্ত বোধ করছেন? শরীরে তেল মালিশ করে দেখুন নিমেষেই দূর হয়ে যাবে সেই ক্লান্তি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মালিশ করলে বিভিন্ন রকম ফল পাওয়া যায়। কেবলমাত্র পায়ের পাতায় তেল মালিশ করলেই একাধিক শারীরিক সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া যাবে। শুধু পেশির আরামই নয়, পায়ের পাতার মালিশে লুকিয়ে রয়েছে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যার সমাধান।
অনেকেই কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় পান না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে ১০ থেকে ১৫ মিনিট নিজের জন্য সময় বের করে পায়ে গরম তেলের মালিশ করলে দূরে থাকবে রোগ-বালাই।
পায়ের পাতায় তেল মালিশ করলে কী কী সুবিধা পাবেন?
# মাঝে-মধ্যেই মাইগ্রেনের ব্যথা আপনাকে কাবু করে? নিয়মিত পায়ের তলায় তেল মালিশ করলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
# অফিসে কাজের চাপ ব্যাপক, বাড়িতে পারিবারিক সমস্যা- একাধিক দুশ্চিন্তার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগে থাকেন অনেকেই। এই রোগের হাত ধরেই শরীরে এক সময় বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। আবার পায়ের তলায় মালিশ করলে দুশ্চিন্তাও কমে, আবার মন চনমনে থাকে। রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
# মহিলারা ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা দূর করতে চাইলেও পায়ের তলায় গরম তেল মালিশ করতে পারেন। যারা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারাও পায়ের তলায় তেল মালিশ করুন। এতে উপকার পাবেন। মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, ঘুম না আসা, অবসাদ- এই সময় এটি স্বাভাবিক। এই ক্ষেত্রেও তেল মালিশ করলে আপনি সুফল পাবেন।
# পায়ের পাতায় মালিশ পেশিতে রক্তের সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রাতে শোয়ার পূর্বে তেল মালিশ করলে পেশির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। পেশিতে টান পড়লেও গরম তেল মালিশ করলে চটজলদি উপকার পাওয়া যাবে।
# অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। পায়ের তলায় মালিশ করলে ঘুম ভালো হয়। ঘুমোনোর পূর্বে মালিশ করলে সারা দিনের ক্লান্তিও দূর হয়। তাই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে এই কৌশলটি আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।