তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বেসিসের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

বুধবার (৫ এপ্রিল) এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত জাপানের টোকিও বিগ সাইটে অনুষ্ঠিত জাপান আইটি উইক ২০২৩-এ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আপনার আইটি গন্তব্য’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে এই আহ্বান জানান তিনি।

এই সময় বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারিদের জন্য পরবর্তী গন্তব্যই হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যে কোনো আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী পণ্য এবং সেবা প্রদানে সক্ষম। আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার এবং অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ ও সরকারের সহযোগী হয়ে কাজ করছে বেসিস। “স্মার্ট বাংলাদেশ” বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার জানা যুগোপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি বেসিসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকৃত উন্নয়নে বেসিস জাপানের আইটি মার্কেট অন্বেষণ ও বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে। বাংলাদেশের দ্রুতগতির আইটি কিংবা আইটিইএস সেক্টর জাপানি আইসিটি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে প্রস্তুত। জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে গভীর ভ্রাতৃত্ববোধ। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে দক্ষ জনবল ও জাপানের রয়েছে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি। এইক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং জাপান দুইদেশের দক্ষতাকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে একসঙ্গে কাজ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে আমি আশা করি।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশি আইটি কোম্পানিগুলো বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করণে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতার জন্য বেসিস জাপান ডেস্ক সর্বদা প্রস্তুত।”

তাছাড়াও, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আরিফুল হক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।

এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত ৫-৭ এপ্রিল, ২০২৩ জাপানের টোকিওবিগ সাইটে অনুষ্ঠিত জাপান আইটি উইকে বেসিসের প্রতিনিধিত্বে ১৫টি তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ২৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এই মেলায় অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি
আহমেদ।

এবার জাপান আইটি উইকে বেসিসের সদস্য ১১টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে নিজেদের সেবা প্রদর্শন করবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলোঃ লিডসফট বাংলাদেশ লিমিটেড, ন্যাসেনিয়া, ব্রেইন স্টেশন ২৩, কাওয়াই অ্যাডভান্সড টেকনোলজি অ্যান্ড সলিউশন লিমিটেড, বিজেআইটি লিমিটেড, ড্রিমঅনলাইন লিমিটেড, এ্যাট্রাবিট আইসিটি সলিউশন, এডুসফট কনসালট্যান্টস লিমিটেড, ই-ট্রাকার সলিউশন, দেশলিংক লিমিটেড ও এক্সিড বাংলাদেশ লিমিটেড।

ভিজিটর হিসেবে অংশ নিচ্ছেন বেসিসের ৪টি সদস্য প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলোঃ লিংক ভিশন সফটওয়্যার সলিউশন, আর্কলাইট সিষ্টেমস লিমিটেড, ট্রায়াঙ্গল সার্ভিসেস লিমিটেড এবং পোলাক্স টেকনোলজি সলিউশনস।
জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণকারি বেসিস সদস্যরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সম্মেলন, সেমিনার, কর্মশালা ও বিটুবি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করবে। মেলায় বেসিস সদস্যদের সেবা সম্পর্কে জানানো ও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্র্যান্ডিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারি-তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই মেলা।

উল্লেখ্য, জাপান বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক রাষ্ট্র ও তারা প্রতিবছর প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাণিজ্য এবং উদ্ভাবনকে উন্নীত করার জন্য জাপান আইটি উইক নামে একটি মেগা কনভেনশনের আয়োজন করে থাকে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন দেশ, বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড, ব্যবসায়ী নেতা ও উদ্ভাবকরা তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য, জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণ করে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।