দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৈশাখের সেই বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো….মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ আজ যেনো ম্লান। করোনার কারণে নীরবে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।
চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তির মাধ্যমে আজ (শুক্রবার) ১৪৩০ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ যুক্ত হলো নতুন আরও একটি বছর। আজ পহেলা বৈশাখ। আজকের সূর্যের নতুন আলোর সঙ্গে এলো ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
বাঙালির জীবনে আরও একবার এলো পহেলা বৈশাখ। প্রতিবারের মতো এবারও বৈশাখ বরণে মেতে ওঠেছে পুরো বাঙালি জাতি। তবে এবার রমজানের কারণে ভোরে পান্তা-ইলিশ খাওয়া হচ্ছে না বাঙালিদের।
ঐতিহ্যবাহী রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। অপর দিকে সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারে নববর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দি ঢাকা টাইমস্ এর পাঠক-পাঠিকা, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন- শুভ নববর্ষ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।