দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণভাবে এক একটি রোগ এক এক উপসর্গ দেখে বোঝা যায়। যেমন- নখের অবস্থা দেখেও কিছু রোগ চেনা যেতেই পারে। যারমধ্যে অন্যতম হলো মেলানোমা ক্যান্সার।
পুরো বছর আমাদের ত্বকে কমবেশি র্যাশ, প্রদাহ কিংবা ঘামাচি আকছার লেগেই থাকে। তবে ত্বকের এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যা অবহেলা করলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে সমস্যা। ত্বক এতোই স্পর্শকাতর হয় যে, আমাদের অসতর্কতার কারণে ছোট কোনও প্রদাহ বা র্যাশ থেকেও চামড়ায় হানা দিতে পারে ক্যান্সারের মতো মারণরোগ।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুরো বছরই ত্বকের যত্নে কমবেশি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। তবে কর্মব্যস্ত জীবন এবং আধুনিক জীবনযাত্রাকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে আমরা বেশির ভাগ সময় ত্বক নিয়ে এতো সচেতন থাকি না। অনেকেই আবার ত্বকের যত্ন বলতে কেবল পার্লার কিংবা ঘরোয়া উপায়ে প্রসাধনের কথাও ভাবেন। ত্বকের যত্ন নিতে হলে, ত্বক সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে।
যে কোনও রোগেরই পূর্বলক্ষণ থাকে। যেমন- চোখ দেখে অনেক চিকিৎসক বলে দিতে পারেন যে, জন্ডিস হয়েছে কি না, তেমনই অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও এই কথা সত্যি। সে সবের পূর্বলক্ষণও রয়েছে। এক একটি রোগ এক এক উপসর্গ দেখেই বোঝা যায়। যেমন- নখের অবস্থা দেখেও কিছুটা হলেও রোগ চেনা যেতে পারে। যারমধ্যে অন্যতম হলো মেলানোমা ক্যান্সার।
কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন?
# হাতের বুড়ো আঙুলে বা পায়ের বড় আঙুলে কালচে কিংবা খয়েরি রঙের দাগ দেখলে সতর্ক হোন। এই দাগ ক্যান্সারের উপসর্গও হতে পারে।
# নখের চারপাশের ত্বকগুলো কালচে হয়ে এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি মেলোনোমা ক্যান্সারের শেষের দিকে উপসর্গ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
# ত্বক থেকে নখ উঠে এলেও সতর্ক হতে হবে। হাত বা পায়ের নখ উঠে এলে তা ত্বকের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ হতে পারে।
# অযত্নের কারণে বা শরীরে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাব হলেও নখ ভেঙে যেতে পারে। তবে ঘন ঘন এই সমস্যা হলে বা মাঝখান থেকে ভাঙতে শুরু করলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
# নখের তলায় ফোলা মতো কোনও অংশে যদি দেখেন তাহলে সাবধান হতে হবে। এই ধরনের লক্ষণও অনেক সময় ক্যান্সারের ইঙ্গিত বহন করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।