দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিকল্প হিসেবে ব্লু স্কাই নামে আরও একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে এলেন টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক শীর্ষ নির্বাহী জ্যাক ডর্সি।
টুইটার থেকে যে সকল সেবা পান ব্যবহারকারীরা, ব্লুস্কাইও অনুরূপ সেবা দেবে। কম্পিউটার এবং স্মার্ট ফোন- উভয় গেজেটেই ব্যবহারের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মটি। কয়েকদিন পূর্বে ব্লুস্কাইয়ের উদ্বোধন হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ২০ হাজার সক্রিয় ব্যবহারকারী ব্যবহার করছেন বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট। -খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির।
ব্লু স্কাই মোবাইল অ্যাপের ওয়েবসাইটে বলা হয়, অদূর ভবিষ্যতে ‘সামাজিক’ ইন্টারনেটে অভ্যস্ত নেটিজেনদের মধ্যে বিভিন্ন প্ল্যাটফরম থেকে আরও বেশি স্বাধীনতার চাহিদাও তৈরি হবে। এই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়েই অ্যাপটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, অ্যাপটির ডেভেলপমেন্টের কাজ এখনও চলছে এবং প্রতিযোগী অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো অবস্থায় আসতে আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন হবে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই অ্যাপটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াই ব্লু স্কাইয়ের মূল লক্ষ্য।
জ্যাক ডর্সি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টেন এবং ইভান উইলিয়ামস- এই চারজন ২০০৬ সালে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকাল হতেই এই কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন জ্যাক। ১৫ বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে পরাগ আগারওয়ালের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে টুইটার থেকে সরে যান জ্যাক ডর্সি।
জ্যাক ডর্সি টুইটার ছেড়ে দেওয়ার কয়েক মাস পর ২০২২ সালের এপ্রিলে টুইটার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক; তবে কিছুদিন পর মত পাল্টান তিনি।
এরপর প্রায় ৬ মাস নানা নাটকীয়তার পর গত ২৮ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মটির কর্মী সংখ্যা ছিলো সাড়ে ৭ হাজার।
মালিকানা নেওয়ার পরপরই টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়ালকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন ইলন মাস্ক। এরপর শুরু করেন গণছাঁটাই অভিযান। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের ৫০ শতাংশ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেন তিনি।
ব্লুস্কাই প্ল্যাটফর্মটির ডেভেলপমেন্টের কাজ অবশ্য শুরু করা হয় ডরসি টুইটার ছাড়ার দুই বছর পূর্বেই, ২০১৯ সালের দিকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।