দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেদারছে গোছা গোছা চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া, মধ্যবয়সে মুখ ভর্তি ব্রণের মতো সমস্যার কারণ হলো শরীরে হরমোনের সমতার অভাব।
সুস্থ ও নীরোগ জীবনের চাবিকাঠিই হলো মানব ‘হরমোন’। অবিশ্বাস্য হলেও এ কথাটি সত্যি যে শরীরের সুস্থতা এবঙ মনের সুখ নির্ভর করে হরমোনের উপরেই। তাই সামগ্রিকভাবে শরীর ভালো রাখতে শরীরে হরমোনের সমতা রাখা জরুরি। আচমকা অনেকটা ওজনবৃদ্ধি বা ওজন ঝরে যাওয়া যেমন হরমোনের তারতম্যের কোনো লক্ষণ হতে পারে, ঠিক তেমনি গোছা গোছা চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, মধ্যবয়সে মুখ ভর্তি ব্রণের সমস্যার কারণই হলো শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটি উপেক্ষা করে ভুল করে থাকেন অনেকেই। শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলো কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যে।
ক্যাফিনজাতীয় পানীয় পান
অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফিনজাতীয় পানীয় পান করলে হরমোনের ভারসাম্যে বিঘ্নও ঘটতে পারে। এই জাতীয় পানীয় শরীরে কর্টিজ়ল হরমোনের পরিমাণও বৃদ্ধি করে। যার উপর শরীরে প্রদাহের বাড়াকমা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এই অভ্যাসে ঘুমের স্বাভাবিক চক্রও ব্যাহত হতে পারে।
ধূমপান
ক্যান্সার ছাড়াও শরীরে যে কোনও রোগ বাড়িয়ে তোলার পিছনে ধূমপানের ভূমিকা রয়েছে। ধূমপান করলে প্রভাব পড়ে প্রজনন ক্ষমতার উপরে।
উদ্বেগ
একা হাতে অফিস ও বাড়ির সব কিছু সামলাতে গিয়ে প্রচুর মানসিক চাপ নিয়ে ফেলেন? কাজ নিশ্চয়ই থাকবেই, তবে সেই সংক্রান্ত উদ্বেগ আপনাকে কমাতে হবে। কোনও বিষয়েই নেতিবাচক চিন্তা করবেন না। নেতিবাচক চিন্তা, অতিরিক্ত রাগ, মানসিক চাপ- হরমোনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
অপর্যাপ্ত ঘুম
শরীরএবং মন ভালো রাখতে গেলে ঠিক মতো ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঠিক মতো না ঘুমোলে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে, যা থেকে নেতিবাচক চিন্তা জন্ম নিতে পারে। আর ঘুম ভালো হলে কাজ করার ইচ্ছা ও ক্ষমতাও তখন পাওয়া যায়। মনে ইতিবাচক অনুভূতিও তৈরি হয়। তাছাড়াও অতিরিক্ত মদ্যপান হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। যে কারণে শরীরে হরমোনের সমতাও নষ্ট হতে পারে। তাই এই অভ্যাসের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। যে কারণে যৌনজীবনেও এর প্রভাব পড়ে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।