দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কম বয়সে পাকা চুল ঢাকতে অনেকেই রাসায়নিক ব্যবহার করেন। কিন্তু এই রাসায়নিক নির্ভর রং চুলের বারোটা বাজানোর জন্য যথেষ্ট। তাই চুলের ক্ষতি বাঁচিয়ে পাকা চুল ঢাকতে ঘরোয়া পাঁচ উপাদানে ভরসা রাখতে পারেন।
নানা রকম স্ট্রেস মাথার চুলে পাক ধরাচ্ছে। শুরুর দিকে দু’-একটা পাকা চুল, এদিক-ওদিক করে ঢেকে রাখা সম্ভব। কিন্তু চোখের নিমেষে সংখ্যায় তারা এমন হারে বেড়ে চলেছে, তাদের আর চাপা দিয়ে রাখা যাচ্ছে না কিছুতেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেশির ভাগই রঙের উপর ভরসা করেন। তবে রাসায়নিক নির্ভর এই রং বা কেমিক্যাল ডাই চুলের বারোটা বাজানোর জন্য কিন্তু যথেষ্ট। তাই চুলের ক্ষতি বাঁচিয়ে পাকা চুল ঢাকতে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।
চা পাতা ভেজানো পানি
পাকা চুল কালো করার সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হলো কালো চা। দু’টেবিল চামচ চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ঠাণ্ডা করে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। অন্তত এক ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার কোনোই প্রয়োজন নেই।
কফি ভেজানো পানি
চায়ের মতো কফিও পাকা চুলে রং আনতে ভিষণভাবে কাজ করে। এক টেবিল চামচ কফি পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে এই পানি মাথায় মেখে রাখুন। কফি মাখার পর চুলে একটু চিটচিটে ভাবও আসতে পারে। অসুবিধা হলে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
কারি পাতা
কম বয়সে চুল পেকে গেলে কারিপাতা ভালো একটি উপায়। নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে নিতে হবে। এই তেল ছেঁকে নিয়ে মাথায় মালিশ করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল পাকা রুখতে দারুণ কাজ করে এই কারি পাতা।
আমলকি
আমলার মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন সি, যা চুল পাকা সমস্যা রুখতে সাহায্য করে। ৩ টেবিল চামচ আমলা পাউডার, ৩ টেবিল চামচ হেনা পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর দু’ঘণ্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। পাকা চুলে যেমন রং ধরবে, আবার পুষ্টিও পাবে।
আখরোট
আখরোট খুবই দামি একটি উপাদান। এটি মাথায় মাখতে ইচ্ছা নাও করতে পারে। তবে আখরোটের খোসা ভেজানো পানি মাথায় মেখে রাখলে চুল কালো হবে। এতে সুফল পেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।