দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাদিন অন্তত কিছুটা সময় হেসে কাটাতে হবে। যতো সমস্যাই থাকুক না কেনো, এই কাজটা প্রতিদিন করতেই হবে। এতেই দূরে থাকবে বেশকিছু মানসিক এবং শারীরিক অসুখ!
৭ মে ছিলো বিশ্ব হাসি দিবস। শপথ নিন, প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় হেসেখেলে কাটানোর। মনের সব দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে দিয়ে, দাঁত কপাটি বের করে অট্ট হাসিতে মেতে উঠুন। পরিবার, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ছড়িয়ে দিন আনন্দের এই সংক্রমণ। দেখবেন এতেই কুপোকাত হয়ে যাবে বড় বড় সব রোগ-বালাই!
সময়ের অভাবে শরীরচর্চা করার ইচ্ছেও চলে যাচ্ছে আমাদের মধ্যে। এমনকী নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। তাই গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই অনেকেই এখন ঘরের খাবার ছেড়ে বাইরের খাবারের দিয়েই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। এই সকল কারণগুলো মিলেমিশে শরীর এবং মনকে অসুস্থ করে দিচ্ছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান জানিয়েছে, হাসজারুর মতো যদি আপনি হাসতে পারেন, তাহলে এমন একঘেয়ে জীবনেও অনায়াসে সুস্থ থাকা যাবে। তাই বিশ্ব হাসি দিবসে এর বিভিন্ন উপকার সম্পর্কে জেনে নিন।
হেসেই বাড়ান ইমিউনিটি
আমাদের গোমরামুখো জীবনই অনেক জটিলতার কারণ। বেশকিছু অসুখও এর হাত ধরে দেহে বাসা বাঁধে বলে মনে করা হয়। তবে নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলেই এখন থেকে কিছুটা সময় হাসুন। দেখবেন অনায়াসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মনে রাখবেন যে, এটা কিন্তু কথার কথা নয়, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, হাসলে দুশ্চিন্তা এবং ভয়ও কমে। এই দুই মানসিক অবস্থা থেকে রেহাই পেলে ইমিউনিটিও বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্থ থাকতে আজ থেকে শুরু করে দিন অট্ট হাসি। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।
হ্যাপি হরমোনের জোয়ার আসে
শান্তিতে বাঁচতে চাইলে মানুষের যেমন টাকা-পয়সা প্রয়োজন। তবে অর্থ ছাড়াও আনন্দময় জীবনের চাবিকাঠি হলো এই হ্যাপি হরমোন। এই হরমোন মনকে আনন্দে রাখতে সাহায্য করে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যার শরীরে হ্যাপি হরমোনের মাত্রা যতো বেশি সে ততোধিক আনন্দে থাকে। এমনকী তার রোগ ভোগের আশঙ্কাও অনেক কম।
দিনে মাত্র কিছুক্ষণ হেসে নিতে পারলে দেহে হ্যাপি হরমোন কিংবা এন্ডোরফিন হরমোনের জোয়ার আসে। কমে যায় স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাও।
সহজ-সরল মানুষের জীবনের চাবিকাঠি
মুণি-ঋষিরা সব সময় সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। তাই তাঁদের মানসিক এবং শারীরিক রোগবালাই তেমন একটা ছিল না বললে চলে। বর্তমানেও অনেকেই এই পথ অনুসরণ করতে চান। যদিও এই পথে হাঁটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কারণ হলো আমরা নিজেরাই নিজেদের জীবনকে জটিল করে তুলছি। তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে। এক্ষেত্রেও দিনে কিছুটা সময় কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে হেসে কাটাতে পারলে মনোবল আরও বাড়ে, জীবনও সহজ-সরল হয়।
মুড ঠিক করে নিন
জীবনের নানাবিধ জটিলতা থাকার কারণে মেজাজ ঠিক রাখা খুবই কঠিন কাজ। অনেক চেষ্টা করেও বহুমানুষ এই কাজে অপারগ হন। এমনকী দিনের পর দিন তাদের নেগেটিভিটি কিংবা নেতিবাচক চিন্তা গ্রাস করে বসে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন মানসিকতা জীবনকে কুঁড়ে কুঁড়ে মারে। এহেন জটিলতার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে দিনে কিছুটা সময় মন খুলে হেসে নিন। তাতে করে দেখবেন খারাপ মুড এক নিমেষে উধাও হয়েছে। আর কেটে গিয়েছে নেগেটিভিটি।
দুশ্চিন্তা-উৎকণ্ঠার ছুটি
চিন্তা কিন্তু সবার জীবনেই রয়েছে। তবে কিছু ব্যক্তির জীবনে দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা এবং ভয়ের কালো মেঘ জমে থাকে সব সময়। এই সমস্যাগুলির কারণে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনও করতে পারেন না। আপনিও কী তাহলে এই সমস্যায় ভুগছেন? সেক্ষেত্রে এমন জটিলতা কাটিয়ে উঠতে হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে দিনে কয়েক মিনিটের অট্ট হাসি। তাহলে মন হবে আনন্দে ভরপুর। জীবনকে অনায়াসে হেসেখেলে উপভোগও করতে পারবেন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।