দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চা না করলে সুস্থ থাকাও সম্ভব না। কোন শারীরিক সমস্যাগুলো নিয়মিত শরীরচর্চার গুণেই বশে থাকবে সেটি জানা দরকার।
সুস্থ থাকতে হলে শরীরচর্চার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। ওজন কমানো থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো- সব কিছুতেই ব্যায়ামের ভূমিকা অনবদ্য। পুষ্টিবিদ হতে শুরু করে চিকিৎসক, সকলের একই পরামর্শ- নিয়ম করে শরীরচর্চা করে যেতে হবে। তবেই পাওয়া যাবে সুফল। দূর হবে বহু মারাত্মক রোগের ঝুঁকি। অনেকেই হয়তো জানেনই না যে, এমন কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে যেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব শুধুমাত্র শরীরচর্চার অভ্যাসে।
উচ্চ রক্তচাপ
সাধারণভাবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরের যত্রতত্র খাবার খাওয়ার প্রবণতা, মানসিক চাপ- এমন কিছু কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন অনেকেই। ওষুধ খেয়েও রক্তচাপের মাত্রা কমানো সব সময় সম্ভবও হয় না। এই রোগ বশে রাখতে হলে অন্যতম ভরসা হতে পারে এই শরীরচর্চা। রক্তচাপের মাত্রা কমাতে শরীরচর্চা করাও বাধ্যতামূলক।
ডায়াবেটিস
রক্তে শর্করার মাত্রা হু হু করে বাড়তে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকার অন্যতম রাস্তায় হলো শরীরচর্চা। নিয়মিত যদি অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চা করা যায়, তা হলে ডায়াবেটিস বশে রাখা সত্যিই সহজ হয়ে যাবে।
কোলেস্টেরল
শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল-এর পরিমাণ কমিয়ে ফেলা যায়। অপরদিকে শরীরচর্চার অভ্যাস ভালো কোলেস্টেরেল এইচডিএল-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কোলেস্টেরলের হাত ধরে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাকের মতো অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা করতে হবে।
ক্যান্সার
প্রতিদিন শরীরচর্চা করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এমনটিই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায় যে কোষগুলো, শরীরচর্চার কারণে সেই কোষগুলো সক্রিয়তা হারাতে থাকে। আর তখন ক্যান্সারের জীবাণুকে প্রতিহত করার ক্ষমতা তৈরি হয় শরীরের। তাই মারণরোগের আশঙ্কা দূর করতে শরীরচর্চা করাটা সকলের জন্যই দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।