দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লক্ষ্মীপুরের সুপারি গাছের ঝরে যাওয়া খোল দিয়ে তৈরি গৃহস্থালির নান্দনিক তৈজসপত্র ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেলো।
সুপারির পাতা-খোল থেকে নান্দনিক তৈজসপত্র তৈরি করা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ব্রাদার্স ইকো ক্রাফটকে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হলো। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটিকে ১৯ মার্চ এই নিবন্ধন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে বিসিক লক্ষীপুর জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-ব্যবস্থাপক মাকসুদুর রহমানের সই করা এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মেসার্স ব্রাদার্স ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘নিবন্ধনের জন্য আমরা অনলাইনে আবেদন করি। ফরম পূরণ করে সাবমিট করতেই খোলে তৈরি করা তৈজসপত্রকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ আমার প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। পরে জেলা কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক নিবন্ধনের সনদ বুঝিয়ে দেন।’
সুপারি গাছের খোল দিয়ে থালা, বাটি, নাস্তার ট্রে, ফটোফ্রেম, ঘড়ি, বিয়ের কার্ড, ওয়ালমেট এবং জুতাসহ ১৪টি পণ্য তৈরি করছে ব্রাদার্স ইকো ক্রাফট। পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত এইসব পণ্য যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ইউটিউবে এইসব পণ্য তৈরির ভিডিও দেখে আগ্রহী হয়ে উদ্যোক্তা মামুনুর রশিদ গড়ে তুলেছেন এই কারখানাটি।
২০১৯ সালের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বহুমুখী পাট পণ্য মেলার স্টল পরিদর্শনের সময় সুপারির খোলে তৈরি তৈজসপত্র হাতে নিয়ে দেখেন। একই বছরের আগস্টে নিউজিল্যান্ড থেকে জেরিক নামে এক বায়ার রায়পুর কারখানায় আসেন। এই সময় গ্রামীণ পরিবেশে উৎপাদিত এইসব পণ্য দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
২০১৭ সালে ইউটিউবে ভিডিও দেখে সুপারির খোলে তৈজসপত্র তৈরিতে আগ্রহ দেখান রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ-পশ্চিম কেরোয়ার তুলাতলি এলাকার মামুনুর রশিদ। ২০১৯ সালের শুরুতেই তিনি একটি টিনশেড ঘরে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে খোল দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। দূর-দূরান্ত থেকে সৌখিন লোকজন তার এই কারখানাটি দেখতে আসেন।
এই কারখানায় বাসন-কোসনসহ ১৪ ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে ১০ জন শ্রমিক নিয়মিতভাবে কাজ করেন। ইতিমধ্যে ২০ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটিই লক্ষ্মীপুরের প্রথম কারখানা।
শুকনো খাবার পরিবেশন এবং পানির ব্যবহার না করলে বেশ কয়েক বছর এইসব ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া এগুলো তৈরিতেও কোনো রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।