ফ্রিজে খাবার রাখা থেকে পেটের রোগ এমনকি অ্যালার্জিও হতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্রিজে খাবার রাখার ভুলে নাকি পেটের নানা রোগ হতে পারে। ফ্রিজে কেটে রাখা ফল, সব্জি কিংবা কাঁচা মাংস রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর বলেও মনা করা হয়।

অনেকের সপ্তাহ ধরে অফিস করার কারণে প্রতিদিন বাজার করার সময়ই হয় না। তাই ছুটির দিনেই ব্যাগ ভরে গোটা সপ্তাহের বাজার করে থাকেন। বাড়ি ফিরেই মাছ, মাংস, শাক-সব্জি ধুয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। রান্নার সময় যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে চেষ্টা করেন তারা। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতেও চেষ্টা করেন। তবু কেনো পেটের রোগ সারতে চাইছেই না?

এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফ্রিজে খাবার রাখার ভুলে নাকি পেটের নানা রোগ হতে পারে। কেটে রাখা ফল, সব্জি কিংবা কাঁচা মাংস রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার আবির্ভাব ঘটে থাকে। এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়াগুলো সাধারণ চোখে দেখা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে রান্নার পর খাবারের মধ্যে তার অবশিষ্ট অংশও থেকে যায়।

পরবর্তী সময় সেখান থেকেই পেটের সমস্যা, অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাবার ফ্রিজে রাখার পূর্বে বা পরে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখাটা জরুরি।

কাঁচা মাংস না ধুয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে

# বাজার থেকে কেনা মাংস না ধুয়েই ফ্রিজে তোলেন না অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রান্না করার পূর্বে ফ্রিজ থেকে বের করে ধুয়ে নেওয়াই ভালো।

# গরম খাবার ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে তুলতে হবেমাত্র গরম খাবার ঠাণ্ডা না করে ফ্রিজে রাখলেও ব্যাক্টেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। ফ্রিজের তাপমাত্রা ও খাবারের তাপমাত্রার অদ্ভুত সহাবস্থান জীবাণুর জন্যও আদর্শ।

খোসাসহ আলু রাখার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে

# অনেকেই খোসাসহ সেদ্ধ আলু ফ্রিজে রেখে দেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সেদ্ধ করার পরও আলুর গায়ে ব্যাক্টেরিয়া থেকে যেতেই পারে। ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

জমাট বাঁধা মাংস বাইরে বের করে রাখা যাবে না

# জমাট বাঁধা মাংস রান্না করার পূর্বে বাইরে বের করে দেন অনেকেই। বরফ গলে তা ঘরের তাপমাত্রায় এলে তবে রান্না করা যায়। তবে এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ফ্রিজ়ার থেকে বের করে মাংস, বেশ কিছুক্ষণের জন্য ফ্রিজে রেখে দেওয়া ভালো।

ভাত গরম করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন

রান্না করা ভাত ঠাণ্ডা না করে ফ্রিজে তোলার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। ঠাণ্ডা-গরমে স্টার্চজাতীয় খাবারের উপরে খুব তাড়াতাড়িই ব্যাক্টেরিয়াও জন্মাতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।