দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন বাইরে থেকে ত্বকের পরিচর্যা করলেই মনে হয় ব্রণের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। কিন্তু আসলে তা কিন্তু নয়। তার জন্য বদল আনাটা জরুরি প্রতিদিনের ডায়েটেও। মাত্র কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ব্রণ হওয়ার তেমন কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। যে কোনও বয়সেই দেখা দিতে পারে এই সমস্যাটি। যদিও টিনএজদের এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি মনোযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া, বেশি তেলমশলাদার খাবার গ্রহণ, রাতে জাগা, ঠিক করে ত্বকের যত্ন না নেওয়াসহ বেশ কিছু কারণে ব্রণ হয়। ব্রণের সঙ্গে লড়াই করতে অধিকাংশ মানুষই প্রসাধনীর উপরই বেশি ভরসা রাখেন। আবার ঘরোয়া উপায়েও ত্বকের যত্ন নিতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে যাই হোক, ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া অতোটাও কিন্তু সহজ নয়। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শুধু বাইরে থেকে ত্বকের পরিচর্যা করলে ব্রণের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে না। সেজন্য বদল আনা জরুরি প্রতিদিনের ডায়েটে। তাহলে কোন খাবারগুলো খেলে ব্রণের সমস্যা দূর হতে পারে সেটি আজ জেনে নিন।
পাতিলেবু খান
পাতিলেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা শুধু শরীরই নয়, একই সঙ্গে যত্ন নেয় ত্বকের। পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে কতোটা কার্যকরী, তা পৃথক করে বলে দেওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে ভিটামিন সি সত্যিই উপকারী একটি জিনিস। তবে সরাসরি ত্বকে লেবুর রস লাগানো মোটেও ঠিক হবে না। তাতে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে।
কুমড়ো
কুমড়ো যে ব্রণের ওষুধ হতে পারে, তা আমরা অনেকেই কিন্তু জানি না। কুমড়োতে রয়েছে জিঙ্ক, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও কুমড়ো বেশ উপকারী। ব্রণের সমস্যা থাকলে কুমড়ো খেলেও উপকার পেতে পারেন।
বেরিজাতীয় ফল খান
স্ট্রবেরি, চেরি, ব্লুবেরির মতো বেরিজাতীয় ফলে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা রক্ত পরিশুদ্ধ করে থাকে। এগুলো রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও এই ফলগুলোতে ভিটামিন সি-ও বেশ থাকে। সেইসঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। উপকারী এই উপাদানগুলো ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করে নিমেষেই। সেইসঙ্গে ব্রণের হাত থেকেও মুক্তি দেয় এইসব ফল। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।