দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। ঘসেটি বেগম ছিলেন সেই সময়ের বাংলার অন্যতম প্রভাবশালী একজন নারী। আবার আসছে সেই সিনেমা। কে হচ্ছেন সেই ঘসেটি বেগম- জয়া নাকি স্বস্তিকা?
নবাবজাদী মেহের উন নিসা বেগম, যিনি ঘসেটি বেগম নামেই পরিচিত। বাংলা, বিহার ও ওড়িশার নবাব আলীবর্দী খানের বড় মেয়ে। তিনি ছিলেন সম্পর্কে নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। ঘসেটি বেগম ছিলেন সেই সময়ের বাংলার অন্যতম একজন প্রভাবশালী নারী। কথিত রয়েছে, সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মীর জাফরকে সাহায্য করেছিলেন এই ঘসেটি বেগম।
সেজন্য ঘসেটি বেগমের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা সেঁটে দিয়েছেন অনেকেই। তবে এই দাবি উঠেছে যে, নিজের অজান্তেই তিনি এই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। সেই ঘসেটি বেগমের জীবনী এবার বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন ভারতের কোলকাতার নির্মাতা অর্জুন দত্ত।
একটি সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই বায়োপিক নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন নির্মাতা। তবে সিনেমাটির বাজেট সমস্যা থাকায় সময় একটু বেশি লেগেছে।
কয়েক বছর আগে সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে সিনেমাটি তৈরির কথা জানান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তবে সেই ক্ষেত্রেও বাজেট ছিল অন্তরায়।
সম্প্রতি পরিচালক সৃজিত মুখার্জি জানিয়েছেন যে, তিনি পলাশী যুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করছেন ও সিরাজউদ্দৌলার চরিত্রে তার প্রথম পছন্দের অভিনেতা দেব। সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে সিনেমা মানেই সেখানে ঘসেটি বেগমের উপস্থিতি থাকবে। তাই অর্জুন তার সিনেমার ঘোষণা করতে আর মোটেও দেরি করতে চাইছেন না।
এই ঘসেটি বেগম চরিত্রে কে অভিনয় করবেন? এর আগে অর্জুন দত্তের ‘গুলদস্তা’ ও ‘শ্রীমতী’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। তাই টলিপাড়ার একটি সূত্রের দাবি করছে, ‘এই চরিত্রের জন্য পরিচালকের পছন্দ হলো স্বস্তিকা। ’ অন্য একটি সূত্র বলছে যে, ‘সিনেমার বিষয় ভাবনার কথা চিন্তা করে এই প্রস্তাব গিয়েছে জয়া আহসানের কাছেও। কারণ সিনেমাটির সময়কাল ও তৎকালীন বাংলার নবাবী পোশাকের সঙ্গে জয়ার লুক বেশি মানানসই বলে মনে করছেন এই নির্মাতারা। ’
আবার ঘসেটির বেগমের চরিত্রের জন্য পশ্চিমবঙ্গের অপর জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দামের নামও উঠে এসেছে। এখন সময়ই বলে দেবে আসলে কি ঘটবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।