দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাচীন জাতের তুলনায় আধুনিক কুকুরের মস্তিষ্ক যেনো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে প্রাণীটির মিথস্ক্রিয়ার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাটিতে আধুনিক এবং প্রাচীন উভয় কুকুরের মস্তিষ্কের আকার পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা যায় যে, কুকুরের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। কুকুর নেকড়ে কিংবা এই জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে বলেও মনে করা হয়। তাই গবেষকরা নেকড়ের মস্তিষ্কের সঙ্গে কুকুরের মস্তিষ্কের তুলনা করেছেন।
এই বিষয়ে ইএলটিই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি-এর ইথোলজি বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এনিকো কুবিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন যে, প্রাচীন কুকুরের জাত থেকে আধুনিক কুকুর পর্যন্ত বংশবৃদ্ধির সময় ধীরে ধীরে প্রাণীটির মস্তিষ্ক বড় হয়ে যাচ্ছে।
এই গবেষক আরও বলেন, আমরা কুকুরের প্রজাতির ধরন বা বংশবৃদ্ধির ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করেই এটিকে ব্যাখ্যা করতে পারি না। আমরা কেবলমাত্র কারণগুলো সম্পর্কে অনুমান করতে পারি। অর্থাৎ মস্তিষ্ক বড় হওয়া নিয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা এখনও গবেষকদের কাছে নেই। শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে এই পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করেছেন তারা।
গবেষণায় হাঙ্গেরি এবং সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী সিটি স্ক্যান করা ১৫৯ জাতের ৮৫০টি কুকুরের মস্তিষ্ক ও সেগুলোর আকার পরীক্ষা করেন। তারপর সেগুলোকে ৪৮ প্রজাতির নেকড়ের মস্তিষ্কের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখেন। গবেষকরা দেখতে পান যে, নেকড়ের সমান ওজনের একটি কুকুরের মস্তিষ্ক ওই নেকড়ের মস্তিষ্কের তিন-চতুর্থাংশ। এটি এ পর্যন্ত অতীতের এক গবেষণারও তথ্যের সত্যতা দেয়।
ওই গবেষণায় বলা হয়, গৃহপালিত হলে প্রাণীর মস্তিষ্কের আকার ২০ শতাংশ কমে যায়। কারণ প্রাণীদের নিজের খাবারের জন্য শিকার করা কিংবা শিকারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। বন্য প্রাণীদের মতো ততোটা বিপদের মুখোমুখিও হতে হয় না। তবে কুকুরের ক্ষেত্রে বরং এর উল্টো হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে ঙে, গৃহপালিত হলেও নেকড়ে থেকে বিবর্তনের পর থেকে যতো সময় গড়াচ্ছে যতো প্রজনন হচ্ছে, ততোই বড় হযে যাচ্ছে কুকুরের মস্তিষ্ক।
এই বিষয়ে গবেষক এনিকো কুবিনি বলেছেন, জটিল বা সামাজিক পরিবেশ, নগরায়ন ও আরও নিয়মের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বাধ্য হওয়া এই পরিবর্তনের কারণও হতে পারে। সমস্ত আধুনিক জাতকেই বিষয়গুলো প্রভাবিত করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গবেষণায় আরও বলা হয়, মাথার খুলির আকৃতি, দীর্ঘায়ু বা কুকুর ছানার আকারের সঙ্গে আপেক্ষিক মস্তিষ্কের আকারের কোন সম্পর্কই নেই। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, প্রাচীন কুকুর স্বাধীন ছিল মর্মে পাওয়া তথ্যকে আরও জোরদার করেছে তাদের এই অনুসন্ধানের ফলাফল।
এই বিষয়ে স্টকহোম ইউনিভার্সিটির নিকলাস কোলম বলেছেন, বিভিন্ন কুকুর পৃথক সামাজিক জটিলতার মধ্যে বসবাস করে ও জটিল কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে, যে কারণে সম্ভবত একটি বড় মস্তিষ্কের ক্ষমতার প্রয়োজন। আর তাই আমাদের ধারণা, কুকুরের প্রজাতির মধ্যে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পরিবর্তিতও হতে পারে। নেকড়ে থেকে তাদের বিবর্তনের সময়কাল বা কাজ সম্পাদনের ভিন্নতার মধ্যে মস্তিষ্কের আকারের পার্থক্যও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।