দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহান জাতীয় সংসদে এটুআই বিল উত্থাপিত হয়। একজন বিরোধী দলীয় সাংসদের আপত্তির প্রেক্ষিতে মহান জাতীয় সংসদ বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।
৭ জুন, ২০২৩ –
আমরা লক্ষ করি যে, ফাইনাল বিলে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত অনেকগুলো স্টেক হোল্ডার মিটিং এর ডিসকাশনের সিদ্ধান্ত গুলো এত্র প্রতিফলিত হয় নাই৷
১১ জুন, ২০২৩ –
আমরা মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করি। আমাদের বক্তব্য শুনার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করি।
১৮ জুন, ২০২৩ –
জাতীয় সংসদ ভবনে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এবং সেইসাথে ৫ টি আইসিটি ট্রেড এসোসিয়েশন সভাপতিগন সভায় আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন৷
অন ক্যামেরা রেকর্ড সভায় ৩টি বিষয় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়৷
১. এটুআই কোনপ্রকার কারবারে অংশগ্রহণ করতে পারবে না৷
২. এটুআই কোম্পানি গঠন করতে পারবে না। এই সীদ্ধান্তের পক্ষে এই সংক্রান্ত ২১ ধারা টি বাদ দেওয়া৷
৩. এটুআই বোর্ডে সকল আইসিটি ট্রেড এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখা।
আমার ফেসবুকে আমি ১৮ জুন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সকলকে এইজন্য ধন্যবাদ ও জানিয়েছি।
৫ জুলাই, ২০২৩ –
মহান জাতীয় সংসদে এটুআই বিলটি পাশ হলো। এবং আমরা ভীষণ স্তম্ভিত হয়ে লক্ষ করলাম, ১৮ জুন স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত এটুআই কে কোম্পানি গঠন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি রয়ে গেলো। অর্থাৎ ২১ ধারা বিলে বিদ্যমান রয়ে গেলো।
এই ধারাটি আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সাথে ভীষণভাবে সাংঘর্ষিক। আমরা গতকাল মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উনি বলেন, এটি সম্ভবত একটি সাচীবিক ভুল (Clerical Mistake)।
আইন পাশ হয়ে যাওয়ার পর কিভাবে এটা সংশোধন করা যায়, এই ব্যাপারে আমরা বিশেষজ্ঞ নই। তবে, এটা বাতিল করা এই শিপ্লের উন্নয়নকে গতিশীল রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বার্থে এই ধারা টি বাতিল হওয়া প্রয়োজন- এটাই আমরা স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি৷
সত্যিই এখন প্রশ্ন থেকে যায়, A2I কার জন্য? বিগত ১৫ বছরে এদের কার্যক্রমকে কেনো কখনও পারফরম্যান্স এপ্রেইজাল বা অডিট করা হয় না? এখন কেনো আইন করে এটুআইকে বাচিয়ে রাখতে হবে এবং আরও শক্তিশালী করতে হবে?
শুধুমাত্র রিসার্চ আন্ড ডেভেলপমেন্ট করবে- বিভিন্ন সভায় আমাদেরকে বারবার এমনটাই বলা হয়েছে। তারপরও আমরা বারবার লক্ষ করছি ব্যবসা বা কোম্পানি করার ধারা টি রেখে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কোন এক অদৃশ্য স্বার্থে।
এমতাবস্থায়, আমরা আইসিটি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পিকার মহোদয়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি, মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সানুগ্রহ দৃষ্টি কামনা করছি এটুআই বিল থেকে ২১ ধারাটি বাতিলের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
আইনের অন্যান্য আরও কিছু বিষয় নিয়ে একটি গণশুনানির আয়োজন কী এখনও অসম্ভব?