দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা মনে করেন, সকালে খালি পেটে মৌরি ভেজানো পানি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারী এই পানীয়টি। জেনে নিন প্রতিদিন সকালে মৌরি ভেজানো পানি দিয়ে দিন শুরু করা কেন এতোটা স্বাস্থ্যকর।
নিয়মিত মৌরি খেলে শরীরের উপকার হবে এবং সেইসঙ্গে অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করবে মৌরি। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, সকালে খালি পেটে মৌরি ভেজানো পানি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। শরীরের বিপাকহার বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারী এই পানীয়টি। জেনে নিন প্রতিদিন সকালে মৌরি ভেজানো পানি দিয়ে দিন শুরু করা কেনো এতোটা স্বাস্থ্যকর।
হজমশক্তি বৃদ্ধি
সাধারণত বর্ষার সময় পেটের গন্ডগোল বেশি দেখা যায়। ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেলমশলা খাওয়ার পর গ্যাসে ভুগতে হয় অনেককে। নিময় করে সকালে মৌরি পানি খেলে হজমশক্তিও বাড়ে। গ্যাসের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ধাত থাকলেও মৌরি পানি খেলে উপকার পেতে পারেন।
পেটের সংক্রমণ কমাতে মৌরি
প্রকৃতপক্ষে মৌরিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান, যা পেটের সমস্যা কমাতেও সহায়তা করে। এমনকি পেটে কোনও সংক্রমণ দেখা দিলে তা থেকে বাঁচাতে পারে এই মৌরি। পেটগরম হয়ে গেলে শরীর ঠাণ্ডা করতে মৌরি-মিছরির পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মৌরি এবং মিছরি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই পানি খেতে হবে।
ওজন কমাতে
ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে মৌরিতে। তাই সকালে মৌরি ভেজানো পানি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে, খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এটি। এই পানীয় বিপাকহার বৃদ্ধিতেও বেশ সহায়ক। তাই ওজন ঝরাতে চাইলে এই পানীয় খেলে উপকার পেতে পারেন।
মানসিক চাপ
মৌরিতে থাকা কিছু বিশেষ উপাদান মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। তাই কর্মজীবনে বা পারিবারিক জীবনে নানা সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। মৌরি ভেজানো পানি স্নায়ুগুলোকে বেশ শান্ত রাখে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে:
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়-
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।