দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফুসফুস ভালো রাখা সবার জন্যই জরুরি। তাই চিকিৎসকরা ফুসফুস ভাল রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ফুসফুসের যত্ন নেয়। সেগুলো কোন খাবার?
আমরা জানি ফুসফুসের যত্ন নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। অত্যধিক বায়ুদূষণ, নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস ও বেশ কিছু কারণে ফুসফুসের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধুমাত্র বয়সীদেরই নয়, কমবয়সিদের মধ্যেও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর তাই ফুসফুস ভালো রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যারমধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার এবং নিয়মিত পানীয় খাওয়া। যেগুলো আবার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেশ সাহায্য করে।
লেবু পানি
সকালে উঠেই ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই পানীয় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। অনেক সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলেই গরম পানি খেলে স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে বাড়তি উপকার পেতে পারেন।
সব্জির স্যুপ
শাকসব্জি শরীরের জন্য কতোটা উপকারী, তা বলার প্রয়োজন পড়ে না। গাজর, বিন্স, ধনেপাতা, পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই স্যুপ। সকালে নাস্তা কিংবা রাতেও এই স্যুপ খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org