দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড তারকা রণবীর সিং এবং দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে? এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এবার। শোনা যাচ্ছে যে, বিয়ের ৫ বছর না পেরোতেই এই দম্পতির মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। এই দম্পতি নাকি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তও প্রায় নিয়ে ফেলেছেন।
তবে সম্প্রতি সব গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রাসে দুজনের ছবি পোস্ট করে জানান দিয়েছেন যে, বেশ ভালোই আছেন বলিউডের এই তারকা দম্পতি।
গত বৃহস্পতিবার বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্মদিন ছিলো। এদিন পুরো বলিউড রণবীরকে শুভেচ্ছা জানালেও, দীপিকার মৌনতা কারও চোখ এড়াতে পারেনি। এই সময় রণবীরের ভক্তদের আলোচনায় ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা যায়। এরপরই মিথ্যা গুজবকে উড়িয়ে দিতে প্রথমেই দীপিকা ইন্সটাগ্রামে রণবীরের নতুন ছবি শেয়ার করে লিখেছেন যে, ‘হেল ইয়া’। সাধারণতভাবে উচ্ছ্বাস কিংবা আনন্দ প্রকাশ করতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়। এই খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
অপরদিকে রণবীরও কোনো অংশে কম যান না। ইনস্টা স্টোরিতে স্ত্রীর সঙ্গে তিনিও একটি সাদা কালো ছবি শেয়ার করেন। ওই ছবিতে জাহাজের মধ্যে রয়েছেন দু’জন। আর মুখ বাইরে বের করে রেখেছেন সমুদ্রের হাওয়া খাওয়ার জন্য। তবে দীপিকার চোখ বন্ধ। ক্যামেরা থেকে একেবারেই দূরে তাকানো। পাশে থাকা রণবীরের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে, পোজ দেন ক্যামেরায়। এই ছবি শেয়ার করে রণবীর লিখেছেন যে, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ’।
তবে রণবীর-দীপিকার ডিভোর্স নিয়ে পত্র-পত্রিকাতে বর্তমানে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। তবে সময়ই বলে দেবে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org