দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রিডলি স্কট নির্মিত ‘নেপোলিয়ন’-এর প্রথম ট্রেলার প্রকাশ পেলো। ট্রেলারে ফরাসি সম্রাটের লুকে মুগ্ধ করলেন জোয়াকিন ফিনিক্স।
রিডলি স্কটের সঙ্গে এর আগে ‘গ্ল্যাডিয়েটর’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন জোয়াকিন। নেপোলিয়নের ব্যক্তিগত জীবন ও ফ্রান্সের সম্রাট হয়ে ওঠার কাহিনী দেখানো হবে ওই ছবিতে। ফুটিয়ে তোলা হবে একজন অসাধারণ নেতা হিসেবে নেপোলিয়নের যুদ্ধ কৌশল ও নিরলস উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়টি। জোসেফাইনের সঙ্গে প্রেমও দেখানো হবে এই সিনেমায়। আর জোসেফাইনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভেনেসা কিরবি।
১০ জুলাই প্রকাশ পাওয়া এই ট্রেলারটি শুরু হয় ১৭৯৩ সালের ঘটনার মধ্যদিয়ে। নেপোলিয়নকে ক্ষমতা দেওয়া হয়। জোসেফাইনের সঙ্গে তার সম্পর্কের অস্থিরতাও দেখানো হয়। আরও বেশি করে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন নেপোলিয়ন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেনো অত্যাচারী হয়ে উঠতে থাকেন তিনি। অসাধারণ ট্রেলারটি শেষ হয় যুদ্ধের দৃশ্য দিয়েই। দেখা যায়, নেপোলিয়ন সৈন্যদের যুদ্ধ নামার হুকুমও দেন। ময়দানে নেমেই বুঝতে পারে তারা হিমবাহে নেমেছে।
ফরাসি বিপ্লবের সময় নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন ও ১৮০৪ সালে ফ্রান্সের সম্রাট হন তিনি। ১৮১৪ সালে তিনি এলবাতে নির্বাসিত হন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে তিনি চলে যান ফ্রান্সে। ১৮১৫ সালে ওয়াটারলুতে পরাজয়ের আগ পর্যন্ত তিনি পুনরায় দেশটির সম্রাট হিসেবে রাজত্ব কায়েম করেন। এরপর তাকে সেন্ট হেলেনায় নির্বাসিত করা হয়েছিলো। নির্জন ওই দ্বীপটিতে তিনি ১৮২১ সালে ৫১ বছর বয়সে মারা যান ।
‘নেপোলিয়ন’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন ডেভিড স্কারপা। প্রযোজনা করেছেন- কেভিন ওয়ালশ ও রিডলি স্কট নিজেই। ছবিটি নভেম্বরের ২২ তারিখ মুক্তি পাবে।
দেখুন ট্রেলারটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org