দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করা এক মার্কিন সেনাকে আটক করেছে উত্তর কোরিয়া। ট্রাভিস কিং নামে ওই মার্কিন সেনা বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার হেফাজতেই রয়েছেন।
তিনি নাকি শাস্তির মুখে (ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন) ছিলেন বলেও জানা গেছে। আন্তঃকোরিয় সীমান্ত পেরিয়ে তিনি উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। খবর- বিবিসি এবং রয়টার্সের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিষয়টি ওয়াশিংটনের জন্য একটি নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ওই সেনা সদস্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ট্রাভিস কিং দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়াতে ‘ওরিয়েন্টেশন ট্যুরে’ ছিলেন ও ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অনুমোদন ছাড়া সামরিক সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়াতে ঢুকে পড়েছেন।
লয়েড অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা এখনও অনেক কিছুই বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা ধারণা করছি যে, তিনি উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছেন ও তাই আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছি।
ইউএস ফোর্সেস কোরিয়ার মুখপাত্র কর্নেল আইজ্যাক টেলর জানিয়েছেন যে, সমস্যার সমাধানে উত্তর কোরিয়ার পিপলস আর্মির সঙ্গে আলোচনা করছে তার বাহিনী।
জানা যায়, ওই সেনা যখন উত্তর কোরিয়াতে ঢুকে পড়েছিলেন, তখন উত্তর কোরিয়ার কোনো সেনাসদস্যই সেখানে উপস্থিত ছিল না।
এদিকে এই ঘটনার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। আর সেই ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে নিক্ষেপ করা হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org