সকালে খালি পেটে ভিটামিন ওষুধ খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ছাড়া শরীরে কাজগুলো সঠিক মতো চালনা করতে হলে নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আপনার শরীরে ভিটামিনের চাহিদা কতোটা, তা বুঝবেন কীভাবে? আর এই ভিটামিন সকালে খালি পেটে খাওয়া কী ভালো?

করোনা-ভীতি আমাদের অনেককেই আগের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য-সচেতন করে তুলেছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্ব অনেকেই বুঝেছেন। তবে ইমিউনিটিকে কেন্দ্র করে কিছু ভ্রান্ত ধারণা ও অভ্যাস আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দাওয়াই হিসাবে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দোকান থেকে মাল্টিভিটামিন কিনে খেয়েছেন, এখনও খেয়ে চলেছেন দেদারসে। সবচেয়ে বড় সমস্যায় হলো, সাধারণ মানুষ জানেন না যে, তার শরীরে কোন ভিটামিন কতোটা প্রয়োজন। সে কারণে অতিরিক্ত ভিটামিন সেবন অন্য সমস্যাও তৈরি করতে পারে শরীরে।

কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ছাড়া শরীরে কাজগুলো ঠিক মতো চালনা করতে নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আপনার শরীরে ভিটামিনের চাহিদা কতোটা, তা কেবলমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন। মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই যে শরীরের সব সমস্যা কমে যাবে, এমনটি কিন্তু নয়। সঙ্গে শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থাকাটাও জরুরি।

Related Post

চিকিৎসকরা আপনাকে ভিটামিনের ওষুধ দিলে তা কোন সময় সেটি খেতে হবে, সেই বিষয়েও সতর্ক থাকা জরুরি।

আপনার শরীরে কি মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে?

নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে মাল্টিভিটামিন ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন বুঝে আপনার রক্ত পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করে কোন মাত্রায় ভিটামিনের অসুধ আপনাকে খেতে হবে, তা তারা স্থির করবেন। চিকিৎসকরা আপনাকে ভিটামিনের ওষুধ দিলে তা কোন কোন সময় খেতে হবে, সেই বিষয়ও সতর্ক থাকাটা জরুরি। ভিটামিন দু’ধরনের- ফ্যাট সলিউবল ও ওয়াটার সলিউবল ভিটামিন। পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি ও সি সাধারণত খালি পেটে খাওয়ায় নিরাপদ। তবে সেগুলো নিরাপদ মাত্রাতে খেতে হবে, বেশি মাত্রায় খেলে পেটের সমস্যাও হতে পারে। চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন- এ, ডি, ই ও কে এই ভিটামিন গুলো খাবারের সঙ্গে খেলে বেশি ভালো কাজ করে। খালি পেটে এই ওষুধগুলো খেলে ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথার মতো সমস্যাও হতে পারে। পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনটি অতিরিক্ত খেলে তেমন সমস্যায় হয় না। কারণ হলো অতিরিক্ত ভিটামিন প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। আর সমস্যা তৈরি করে ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। আমাদের শরীর থেকে ফ্যাট বেরোনোর কোনও প্রক্রিয়াও নেই। তাই অতিরিক্ত ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে গিয়ে অন্যান্য রোগও ডেকে আনতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ২০, ২০২৩ 3:20 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

শীতের বেলায় গ্রামের প্রকৃতি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

মোটা হলে ব্রণ হতে পারে! ফলে-শাকেই তার ক্ষয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…

% দিন আগে

স্যামসাং নিয়ে এলো দূর্দান্ত এআই সুবিধাযুক্ত নিও কিউএলইডি ৮কে টিভি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…

% দিন আগে

ভিটামিন বি১২-এর অভাবে রক্তাল্পতা ও দেখা দেয় স্নায়ুর রোগও!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…

% দিন আগে

আজিমপুর কবরস্থানে শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…

% দিন আগে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণহানি পৌনে ৪৬ হাজার ছাড়ালো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…

% দিন আগে