দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার সিরিজ ‘মাসুদ রানা’ এবার বইয়ের পাতা থেকে আসছে রূপালী পর্দায়! এরইমধ্যে সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউড পরিচালক আসিফ আকবর পরিচালিত ছবিটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।
বিনোদন-ভিত্তিক মার্কিন সংবাদপত্রিকা ‘ডেডলাইন হলিউড’ এর অনলাইন সংস্করণ ‘ডেডলাইন ডটকম’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামি ২৫ আগস্ট বাংলাদেশসহ কানাডা এবং আমেরিকায় একযোগে মুক্তি পাচ্ছে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর পরিবেশনায় কানাডা এবং আমেরিকার ১৫০টি স্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
গত ১৭ জুলাই রাতে ছবির একটি পোস্টারও প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া! পোস্টারে মাসুদ রানার চরিত্রে এবিএম সুমনকে পোট্রে করতে দেখা যায়! ঘাড় ঘুরিয়ে তার তীক্ষ্ণ চাহনি নজর কেড়েছে দর্শকদের! এবিএম সুমনের এমন রূপ প্রশংসা পাচ্ছে পুরো নেটদুনিয়ায়!
পোস্টারটি শেয়ার করে ছবিটিকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট বলে মন্তব্য করেন মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর। তিনি বলেছেন, ‘শৈশবের নায়ক মাসুদ রানাকে বড় পর্দায় নিয়ে আসার দায়িত্ব নিতে আমার উপর আস্থা রাখায় আমি নিজেকে গর্ব বোধ করছি।’
হলিউড ধাঁচে বানানো ‘এমআর-৯’ নিয়ে উচ্ছ্বসিত সংশ্লিষ্টরা। শুধু নির্মাণের ক্ষেত্রেই নয়, ছবিটির শুটিং সময় থেকে এ পর্যন্ত কিছুই সামনে আনেননি সংশ্লিষ্টরা। কেন্দ্রীয় চরিত্রে এবিএম সুমন ছাড়াও অভিনয় করেছেন সাক্ষী প্রধান, শহীদুল আলম সাচ্চু,মাইকেল জেই হোয়াইট, ম্যাট পাসমোর, নিকো ফস্টার, কেলি গ্রেসন ও ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ।
৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটিতে জাজ ছাড়াও বিনিয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস এবং আল ব্রাভো ফিল্মস। ছবির নির্মাতা আসিফের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ এবং নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন- গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org