দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুগল প্লে স্টোর আবারও ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে! এর অ্যাপ স্টোরের বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন বিপদজনক বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যারমধ্যে বেশ কিছু অ্যাপ বহু মানুষের ফোনে ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা রয়েছে। যে কারণে এর থেকে ভয়ানক হারে প্রতারণা, তথ্য ফাঁসের মতো ঘটনাও বাড়তে পারে।
সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ডক্টর ওয়েব জানিয়েছে যে, ৪০ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোডসহ মোট ১০১টি অ্যাপে সপাইওয়্যার ক্ষমতাসমপন্ন একটি সফটওয়্যার মডিউলও রয়েছে।
ডক্টর ওয়েব বলেছে, এই মডিউলে ক্লিপবোর্ড থাকা ফাইলের কনটেন্ট হতে ডেটা সংগ্রহ করতে সক্ষম। সেই তথ্য তারপর পাচার হয়ে যায়। সিপনওকে পোশাকি নামে এই বিজ্ঞাপন এসডিকে (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট) গুগল প্লে স্টোর -এ অ্যাপস ও গেমে এম্বেডও করা যায়। এমনিতে উপর উপর দেখে মনে হবে, মিনি-গেমস, রিওয়ার্ডসের মাধ্যমে অ্যাপে সকলের আগ্রহ টানার এটি উপায়। তবে বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। একবার কনফিগার করা হলেই, এটি কোনও সিএন্ডসি সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ফেলে। তারপর এই সার্ভারগুলোতে প্রযুক্তিগত সব তথ্য ফরোয়ার্ড করে। ফোনে থাকা সেন্সরের ডেটা, যেমন- জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, ইত্যাদি তথ্য নিমেশেই হাপিশ করতে পারে এই অ্যাপে থাকা মডিউলগুলো।
শুধু তা-ই নয়, ট্রোজান এসডিকে নির্দিষ্ট ডিরেক্টরি থেকে ফাইল রিস্টোরও করতে, ফাইলের লোকেশন যাচাই করার জন্য, ক্লিপবোর্ডের কনটেন্ট প্রতিস্থাপন করতে ও আরও অনেক কাজের জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট কোডের ক্ষমতা এক্সটেন্ডও করতে পারে। গবেষণা সংস্থা গুগলকে এই বিষয়ে রিপোর্টও করা হয়েছে।
এই সংস্থাটি ইতিমধ্যেই এই তালিকা থেকে ১০টি ‘সংক্রামিত’ অ্যাপের তালিকা প্রকাশও করেছে।
অ্যাপগুলো হলো:
Noizz : video editor with music
Zapya- File Transfer, Share
VFly : video editor & video maker
MVBit- MV video status maker
Biugo- video maker&video editor
Crazy Drop
Cashzine- Earn money reward
Fizzo Novel- Reading Offline
CashEM : Get Rewards
Tick : watch to earn
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
Bengali 
English