দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রকাশ করা হবে। বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেও ফল জানতে পারবেন। তাছাড়াও এসএমএস করেও ফল জানতে পারবেন।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ৪টি শিক্ষাবোর্ডের দুটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। নিয়মিত পরীক্ষা শেষে এই পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ২৩ মে পর্যন্ত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ মে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ২৫ মে পর্যন্ত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে শুরু হয়ে ৩ জুন শেষ হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ২৩ মে পর্যন্ত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে শুরু হয়ে ৪ জুন শেষ হয়।
এবারের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন অংশ গ্রহণ করে। যার মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ও ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৭৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মোট ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এছাড়াও মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
রোল নাম্বার দিয়ে এসএসসির রেজাল্ট
এসএসসি ও সমমানের ফল তিনভাবে জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী সেখান থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে educationboardresults.gov.bd প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।
এর বাইরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানতে পারবেন। সেইক্ষেত্রে মোবাইলফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখে, তারপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। তারপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানা যাবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে হলে বোর্ডের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোডও করা যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org