দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের সাইক্লিস্টসদের জন্য নিবেদিত ফেসবুক গ্রুপ সিওইউ (কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি) সাইক্লিস্টস সম্প্রতি রিয়েলমি’র সহযোগিতায় ‘লেনসেশন ১.০’ শীর্ষক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সৃজনশীলতা বাড়াতে গত ২৬-২৭ জুলাই এই অনলাইন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেইসঙ্গে, এই আয়োজনের অংশ হিসেবে গত ৩০ জুলাই প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
‘সাইক্লিস্ট’ ও ‘জেনারেল’ (সাধারণ) এই দুটি ফেসবুক গ্রুপের জন্য দু’টি পর্যায়ে ‘লেনসেশন ১.০’ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে অনলাইনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করার পর অফলাইনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সাধারণ গ্রুপের ফটো প্রতিযোগিতার থিম ছিল ‘ন্যাচার’ ও ‘লাইফস্টাইল’; অন্যদিকে সাইক্লিস্ট গ্রুপের সদস্যদের জন্য থিম ছিল ‘সাইক্লিং’। প্রথমে ধাপে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি গ্রুপ থেকে ১০ জন করে প্রতিযোগী বাছাই করা হয়।
আয়োজন চলাকালে তরুণদের দূষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহী করতে ‘চ্যাম্পিয়ন সাইকেল র্যালি’ নামে আরেকটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
সাইকেল র্যালিটি গত ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। ২২০ জনেরও বেশি সাইক্লিস্ট অংশগ্রহণ করেন। সাইকেল র্যালির সময় অংশগ্রহণকারীরা ‘রিয়েলমি সি৫৩ চ্যাম্পিয়ন টি-শার্ট’ পরিধান করে হাতে আকর্ষণীয় পতাকা বহন করেন। এই ইভেন্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কুমিলা সাইক্লিস্ট গ্রুপ র্যালিতে অংশ নেয়।
ফাইনাল রাউন্ডে ২০ জন সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেন, যারা পরবর্তীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা স্টেজে ফটো প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিক রাউন্ডে পাঠানো সকল ছবি দর্শনার্থীদের সামনে প্রদর্শন করা হয়, পরে তাদের মধ্য থেকে ৬ জন বিজয়ীকে বেছে নেন প্রধান অতিথি এবং দর্শনার্থীরা।
প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ বিজয়ী পুরস্কার হিসেবে রিয়েলমি সি৫৩ পান, অন্যান্য বিজয়ীদের রিয়েলমি’র এআইওটি পণ্য দেওয়া হয়। সাইক্লিস্ট গ্রুপ থেকে তৌফিক রিশাদ এবং সাধারণ (জেনারেল) গ্রুপ থেকে আরাফাত রাফি বিজয়ী হন। সেইসঙ্গে, যেসব অংশগ্রহণকারী প্রথম রাউন্ড অতিক্রম করেন তাদের জন্য ছিল চ্যাম্পিয়ন টি-শার্ট, সার্টিফিকেট এবং রিয়েলমি সি৫৩ এর সৌজন্যে মিউজিক নাইট উপভোগ করার সুযোগ।
লেনসেশন ১.০ আয়োজনের প্রথম ধাপে ছবি মূল্যায়ন করেন কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি’র কোষাধ্যাক্ষ এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আল ইমরান ও আর্টল্যান্ডের সাবেক সিনিয়র ফটোগ্রাফার নূরে এলাহী সাগর। ফটো প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিউজিক পরিবেশন করে সরলা, প্রতিবর্তন এবং প্লাটফর্ম ব্যান্ড। উপস্থিত সকলে এই আয়োজন ও ইভেন্টের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য যে, তরুণ প্রজন্ম কেন্দ্রিক ব্র্যান্ড রিয়েলমি ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org