দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই মাছ বিক্রেতা হিসেবে এবার দেখা গেছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূরকে। তিনি সকালে ভিড়ঠেলা বাজারে মাছ বিক্রি করছেন!
চিরাচরিত একটি চরিত্র মাছের ওপর পানি ছিটানো, মাছি তাড়ানো থেকে দাম হাঁকানো সবটাই করছেন একেবারে অবলীলায়। অনেকেই তো সত্যি ভেবে ভুলও করছেন। অর্থাৎ মাছের দাম করে বসছেন!
এমনটাই দেখা গেছে, ‘মৎস্যকন্যা’ নাটকের শুটিং স্পটে। নির্মাতা আলোক হাসানের পরিচালনায় এই নাটকে আমেনা চরিত্রে অভিনয় করছেন সাবিলা নূর।
তার স্বামীর অসুস্থতার কারণে সংসারের হাল ধরেই মাছ বিক্রি করেন তিনি। চরিত্রটি যথাযথ ফুটিয়ে তুলতে ও নাটকে সত্যিকারের আবহ তুলে ধরতে সম্প্রতি মিরপুরের ৬ নম্বর সেক্টরের মাছ বাজারে শুটিং হয় ‘মৎস্যকন্যা’ নাটকটির।
চরিত্রটি সম্পর্কে সাবিলা নূর বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ পরপরই মাছে পানি ছিটানো, মাছি তাড়ানো- এই কাজগুলো করতে হয়েছে। মাছ কিনতে গিয়ে আগে এই কাজগুলো আমরা দেখেছি। তবে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে শুটিংয়ে এগুলো করতে হচ্ছে আমাকেই। সেইসঙ্গে ক্রেতার সঙ্গে সঠিকভাবে দামদরও করতে হয়। পুরো বিষয়টি আমার জন্য খুব একটা সহজ কাজ ছিলো না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘অনেক বড় একটি বাজারে শুটিং। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাও ছিলো প্রচুর। শুটিং করা অনেক কষ্ট ছিলো। অনেকেই বুঝতেও পারিনি এখানে শুটিং চলছে। সে কারণে অনেকটা সমস্যাও হয়েছে। যথাযথভাবে ক্যামেরা ধরতে সমস্যা হচ্ছিল। একসময় বাজারের লোকজনের সহায়তায় ঠিকঠাক মতো শুটিং করতে পেরেছি।’
জানা যায়, দয়াল সাহার চিত্রনাট্যে নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, সাজু, দিশা প্রমুখ।
নির্মাতা আলোক হাসান জানিয়েছেন, জীবনঘনিষ্ঠ এক ঘণ্টার এই নাটকের শুটিং মিরপুর মাছবাজারসহ উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে করা হবে। এই নাটকে দর্শকরা নতুন এক সাবিলাকে খুঁজে পাবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org