দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে অংশীদারীত্ব ও বিশ্বমানের ক্যাম্পাস নিশ্চিতে বিনিয়োগ করবে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)।নিজেদের নতুন কৌশল ‘আইএসডি ২.০’ উন্মোচন করে ১২ আগষ্ট এই ঘোষণা দেয় স্কুলটি।
এই উদ্যোগ গ্রহণের কারণে, আইএসডি’র ১-১০ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা লেগো এবং ভিইএক্স কিটস ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির বিশ্বসেরা গবেষণা-নির্ভর রোবোটিকস প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং, কোডিং এবং কম্পিটিউশনাল থিংকিং শেখার সুযোগ পাবে। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর তারা কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির সনদ পাবে।
স্কুলটি ডায়নামিক কো-কারিকুলার প্রোগ্রাম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বার্সেলোনা অ্যাকাডেমি এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ক্রিককিংডমের সঙ্গে অংশীদারীত্ব করেছে। বাংলাদেশের কোনো স্কুল প্রথমবারের মতো এই ধরনের অংশীদারিত্ব করলো।
বার্সেলোনা অ্যাকাডেমির সঙ্গে অংশীদারীত্বের কারণে স্কুলটির ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা বার্সা ট্রেইনিং মেথডোলজি সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবে। অপরদিকে, তরুণদের বিশ্বমানের ক্রিকেট কোচিং দিতে এবং আগামীর মেধাবী ক্রিকেটার গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে ক্রিককিংডম।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রতিষ্ঠান অস্টসুইম সুইমিং প্রোগ্রামের সঙ্গে অংশীদারীত্ব করেছে আইএসডি। যে কারণে, শিক্ষার্থীরা অস্টসুইম লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে ওয়াটার সেইফটি এবং সাঁতারের সেরা কোর্সগুলো শিখতে পারবে। নতুন এই কৌশলের অংশ হিসেবে আর্লি ইয়ারসের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন প্লে-জোন, বাস্কেটবল এবং টেনিস কোর্ট তৈরি, ইন্ডোর জিমনেশিয়াম, ওয়াশ এরিয়া এবং ক্যাফেটেরিয়ার সংস্কারসহ ক্যাম্পাসের সুবিধা বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
‘আইএসডি ২.০’ উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় আইএসডির ডিরেক্টর স্টিভ ক্যালেন্ড-স্কোবল বলেন, “আইএসডি ২.০ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের বাইরে অনন্য এবং আকর্ষণীয় সুযোগ হিসেবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্বসেরাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ক্রিককিংডম গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেডের গ্লোবাল এক্সপানশন ভাইস প্রেসিডেন্ট পরাগ দাহিওয়াল। বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং অ্যালামনাইদের সংযুক্ত করতে শীর্ষস্থানীয় অ্যালামনাই ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভ্যারাইটি’র সহযোগিতায় নিজস্ব অ্যালামনাই প্রোগ্রাম তৈরি করবে আইএসডি।
আইএসডি’র অ্যালামনাই এবং একজন বর্তমান শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাশফিকুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, “আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত যে, আমাদের শিশুরা এসব প্রোগ্রামের দুর্দান্ত সব সুযোগ গ্রহণের মধ্যদিয়ে তারা ক্লাসরুমের বাইরেও নিজেদের দক্ষতা আর আগ্রহ বিকাশিত করার সুযোগ পাবে। আমি গর্বিত যে, স্কুলটি বাংলাদেশে বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করেছে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org