দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন যুগের সূচনা করতে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (বিসি) কারিকুলাম চালু করলো নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ভবিষ্যতের বিশ্ব অপার বৈচিত্র্যপূর্ণ, সম্ভাবনাময় ও যার মাধ্যমে শিশুরা নতুন বিষয় জানার অনুপ্রেরণা পাবে।
শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক কৌশলের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ‘জানো-করো-বুঝো’ (নো-ডু- আন্ডারস্ট্যান্ড) মডেলের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া কারিকুলাম। এই ৩টি উপাদানের মধ্যে শেখানোর কার্যক্রমসহ রয়েছে কনটেন্ট, কারিকুলার কম্পিটেন্সি এবং বিগ আইডিয়ার মাধ্যমে ডিপ লার্নিংয়ের প্রতি উৎসাহিত করা। সেইসঙ্গে, বিসি শিক্ষাপদ্ধতির সকল পর্যায়ে জীবনব্যাপী শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক, উদ্ভাবনী ও পারসনালাইজড কৌশল প্রয়োগ করা হয়। এই কারিকুলামে যোগাযোগ, চিন্তার সক্ষমতা, ব্যক্তিগত ও সামাজিক দক্ষতা তৈরি করার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে, নিজেদের মধ্যে চিন্তার আদানপ্রদান, বিশ্ব সম্পর্কে জানার আগ্রহ ও ডিজিটাল স্পেসগুলোকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা
সৃজনশীল ও ক্রিটিকাল থিংকিংয়ে দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। ফলে, ব্যক্তি ও নিজ সংস্কৃতির সঙ্গে ইতিবাচকভাবে পরিচিত হওয়ার মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ পাবে।
সাধারণ অ্যাকাডেমিক বিষয়ের পাশাপাশি, ব্রিটিশ কলম্বিয়া কারিকুলামে হিউমিনিটিস (মানবিক), আর্টস (কলা), টেকনোলোজি (প্রযুক্তি), ফিজিক্যাল এডুকেশন (শারীরিক শিক্ষা) এবং সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিংয়ের (সামাজিক আবেগীয় শিক্ষা) কোর্স রয়েছে। কমিউনিটি গড়ে তোলা, এর সুরক্ষায় কাজ করা এবং সচেতনভাবে মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে শিশুদের উৎসাহিত করে এই কারিকুলাম। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্কুলটিতে আন্তর্জাতিকভাবে অ্যাফিলিয়েটেড নানান প্রোগ্রাম ও কোর্স সহ বিস্তৃত পরিসরের এক্সট্রাকারিকুলার কার্যক্রমের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা এবং শিক্ষায় বিকশিত করতে এবং নিজেদের ইতিবাচক আত্মপ্রতিকৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিউ হরাইজন স্কুলের শিক্ষকরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিসি সার্টিফায়েড প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত এই স্কুলটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে তাদের সব ধরণের চাহিদা পূরণে সক্ষম। নিউ হরাইজন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ক্রিস্টাল জাউগ বলেন, “ঢাকায় বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ প্রদানের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি বিকশিত হতে হলে তাদের জন্য সেরা সুযোগটি নিশ্চিত করতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রত্যেকের চাহিদা আলাদাভাবে পূরণ করা প্রয়োজন। এজন্য নিউ
হরাইজনে আমরা একটি উন্মুক্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে যথার্থ সুযোগ-সুবিধা সহ শিক্ষার্থীদের শেখা ও বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করে যাচ্ছি।”
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া কারিকুলাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেঃ https://curriculum.gov.bc.ca/
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org