দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের আসরে বরের সঙ্গে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বরের পরিচয়।
সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার প্রকাশ্যে এলো অভিনেত্রীর স্বামীর ছবি নাম ও পরিচয়।
ফারিণের স্বামীর নাম হলো শেখ রেজওয়ান। তিনি মিডিয়ার সঙ্গে মোটেও সম্পৃক্ত নন। বর্তমানে দেশের বাইরে কর্মরত রয়েছেন তিনি। ফারিণের কলেজ জীবন থেকেই তাদের সম্পর্কের শুরু। দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্কের পর গত ১১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন তারা।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্বামী শেখ রেজওয়ানের উদ্দেশে ফারিণ লিখেছেন যে, লম্বা সময়, তবে তুমি এখনও আমার হৃদয়কে সেই প্রথমদিনের গতিতেই রেখেছো। আমি আমার শান্তি খুঁজে পেয়েছি তোমার মাঝেই। আমরা বাইরের কোলাহলমুক্ত আমাদের নিজস্ব অভয়ারণ্য তৈরি করেছি। আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম যখন আমি কলেজে পড়তাম। তখনও আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি। তুমি সবসময়ই আমার পাশে ছায়ার মতোই ছিলে। আমার কর্ম-পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়া সত্ত্বেও তুমি সব সময়ই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছো, সমর্থনও যুগিয়েছো।
অভিনেত্রী ফারিণ আরও বলেন, আমাদের সম্পর্ক খুব গোপন ছিল। সত্যি বলতে গেলে এটা অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের কৈশোরের প্রেম অবশেষে প্রাপ্য সমাপ্তি পেলো।
নিজেকে ভাগ্যবতী উল্লেখ করে তাসনিয়া ফারিণ আরও বলেন, আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্যই লাগছে- আমি একজন স্বামী পেয়েছি। আমার মনে হচ্ছে- আমি সবচেয়ে ভাগ্যবতী মেয়ে। শেখ রেজওয়ান, ধন্যবাদ আমাকে বিয়ে করার জন্য। আমি তোমাকে ভালোবাসি ও সারাজীবন তোমাকেই লালন করবো।
তাসনিয়া ফারিণ আরও বলেন, পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে আমাদের আক্দ হয়। আমার স্বামী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত আছেন। তিনি দেশে ফিরলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিয়ে উদযাপন করবো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org