ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে গাঁটে ব্যথা হলে কোন খাবারে মিলবে স্বস্তি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, ওজন যেনো নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড হলে কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড বশে থাকবে আজ সেটি জেনে নিন।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ের পাতায় অসহ্য যন্ত্রণা বা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত কিংবা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে থাকা মূলেই রয়েছে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টোম্যাটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকেই।

পুষ্টিবিদদের মতে, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ওজন যেনো নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী কী খাওয়া বারণ রয়েছে, তা প্রায় সকলেই জানেন। তবে কোন কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেটি অনেকেই জানেন না। আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।

Related Post

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ডায়েটে কী কী রাখত হবে

ফাইবারযুক্ত খাবার

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। কুমড়ো, ব্রকোলি, ওট্‌স কিংবা দানাশস্য- সবেতেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারে থাকা ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন বেশ কমিয়ে দিতে পারে।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন রাখতে হবে। তবে, প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদই একমাত্র ভরসা। শাকসব্জি খাওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের দানাশস্য, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় ইচ্ছে করলে যোগ করতে পারেন।

লো ফ্যাট দুধ

খেতে ভালো লাগলেও ‘ফুল ফ্যাট’ বা ‘ফুল ক্রিম’ দুধ কিংবা দুধের তৈরি কোনও জিনিস খাওয়া যাবে না। এর বদলে প্রতিদিন ‘ডবল টোনড’ কিংবা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল বা পনির।

ভিটামিন সি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। শুধু লেবু কিংবা সাইট্রাসজাতীয় ফলই নয়, চেরি, স্ট্রবেরি কিংবা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া দরকার।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, তেলযুক্ত মাছ যেমন- বোয়াল বেশি করে ডায়েটে রাখতে পারেন। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on আগস্ট ১৬, ২০২৩ 5:27 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সত্যিই এক পাগল করার মতো প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ১২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান: আবারও বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশীয় সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রত্যয় নিয়ে…

% দিন আগে

কম বয়সেই চুলে পাক ধরছে? এই উপসর্গ কি অন্য শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, কম বয়সে চুলে পাক…

% দিন আগে

আইফোনের বিক্রি ১০ শতাংশ কমে গিয়ে আয়ে বড় পতন অ্যাপলের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের খ্যাতিমান প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের স্মার্টফোন আইফোনের বিক্রি চলতি বছরের…

% দিন আগে

এবার কন্যা সন্তানের মা হলেন পরীমণি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরীমণি প্রথমবারের মতো তিনি পুত্র সন্তানের মা হন ২০২২ সালের…

% দিন আগে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলে ইসরায়েল একাই লড়বে: নেতানিয়াহু

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েল রাফায় হামলা চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ…

% দিন আগে