দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কুকুরের প্রতি প্রেম থেকেই নিজেকে কুকুরের বেশে দেখার সাধ জেগেছিলো জাপানি যুবক টোকোর। বিচিত্র এই শখ পূরণের জন্য তাকে ব্যয় করতে হলো ১২ হাজার পাউন্ড। যা বাংলাদেশী টাকায় পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ লাখেরও বেশি!
তবে নিজেকে কুকুর রুপদানের পর কেমন ছিল তার সেই অভিজ্ঞতা? পরিবারইবা কেমন চোখে দেখেছে তার এই বিষয়টি? জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
জানা যায়, সারমেয় প্রেমি টোকো গত বছর কুকুরের মতো দেখতে পোশাক তৈরির জন্য জেপেট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হন। এই প্রতিষ্ঠানটি সিনেমা ও বিজ্ঞাপনের জন্য ভাস্কর্য ও মডেল তৈরি করে থাকে।
হুবহু কুকুরের মতোই দেখতে পোশাক তৈরি করতে ৪০ দিন সময় লেগেছিল এই প্রতিষ্ঠানের। ওই পোশাক পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘আই ওয়ান্ট টু বি অ্যানিমেল’ একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। ভিডিওটি ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ দেখেছিল।
বর্তমানে কুকুর রুপে কেমন দিন কাটাচ্ছেন টোকো সেটিও জানিয়েছেন ইয়র্ক পোস্টকে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, সাধারণত বাড়িতে সপ্তাহে একবার এই পোশাকটি পরেন তিনি। তবে প্রথমে তার পরিবার বিস্মিত হয়, তবে পরে তারা এটি স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেছে। সে জন্য পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন টোকো।
গত মাসে এই পোশাকে টোকিওর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। এই পোশাকে তিনি বাস্তব কুকুরদের সঙ্গেও মিশেছেন। তার সেই ভিডিওটি ৭০ লাখ বারেরও বেশি বার দেখা হয়ে গেছে।
দ্য মিররকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই রূপান্তর করার স্বপ্ন ছিল তার। এমনকি গ্রেড স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন বইতে ‘আমি কুকুর হয়ে বাইরে হাঁটতে চাই’ এই কথাও তিনি লিখেছিলেন।
তবে কেও টোকোর এই নকল রূপান্তর বুঝতেই পারেনি। অনলাইনে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন। কেও কেও বলেছেন যে, ইচ্ছার জন্য এতোগুলো অর্থ ব্যয় করা বেহায়েত বোকামো। তবে বাইরের লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের শখকেই গুরুত্ব দিয়েছেন টোকো- জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যম দ্য মিররকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org