দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ফোনে চার্জ থাকার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই সারাদিন ব্যবহারের পর রাতে চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন অনেকই। এই বিষয়ে অ্যাপল ফোন চার্জে দিয়ে না ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছে।
অনেকের কাছেই রাতে চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া একপ্রকার রুটিন হয়ে গেছে। তবে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ। তাই সম্প্রতি আইফোন ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে বার্তা দিলো অ্যাপল।
এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবহারকারীদের ফোন চার্জে রেখে না ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কবার্তার অংশ হিসেবে এই পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপল। তাদের এই সতর্কবার্তায় বলা হয় যে, কোনও ব্যবহারকারীই যেনো সারারাত ফোন চার্জে দিয়ে না রাখেন। এমনকি তারা সতর্ক করে বলেছে যে, ঘুমানোর সময় কখনই আপনি ফোনটিকে মাথার কাছে চার্জ দিয়ে রাখবেন না। এতে আগুন লাগার সম্ভাবনাও থাকতে পারে।
তবে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসতেই পারে যে, এতো টাকা খরচ করে ফোন কেনার পরও কেনো সমস্যা হবে? তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা এই বিষয়টিকে পরামর্শ হিসেবে দেখছেন। এর পেছনে তারা কিছু যৌক্তিক কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন- অনেকেই ফোনটি চার্জিংয়ে দিয়ে বালিশের কাছেই রেখে দেন। এতে এটি অতিরিক্ত গরমও হতে পারে। যে কারণে শুধু ফোনের ক্ষতি হবে তা-ই নয়, এতে আগুনও ধরে যেতে পারে।
অ্যাপল বলছে যে, মোবাইল পাওয়ার অ্যাডাপ্টার কিংবা ওয়্যারলেস চার্জারে রাখার সময়ও কখনও ঘুমাবেন না। কারণ যখন ফোনটি পাওয়ার সোর্সের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় থাকবে, তখন সেটি কখনও মাথার কাছেও রাখবেন না। এমনকি এটি কম্বল কিংবা বালিশের নিচেও রাখবেন না। এছাড়াও ফোনটি চার্জ চলাকালিন অবস্থায় ব্যবহারও করবেন না। তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org