দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সময়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ফোল্ডেবল ডিভাইস। স্যামসাং, ওপো, মটোরোলা বাদেও ওয়ানপ্লাস ইতিমধ্যেই এই ফোল্ডেবলের যুগে প্রবেশ করেছে। এই জায়ান্টদেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই রয়েছে ফোল্ডেবল।
ফোল্ডেবলের কিছু ঘাটতিও থাকে। তাই এই ডিভাইস হয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর। স্পর্শকাতর বিল্ড নিয়ে অ্যাপল সচরাচর ঝুঁকি নেয় না।
তবে এবার অ্যাপল সে ঝুঁকিতেও প্রবেশ করলো। এবার অ্যাপল আনছে ফোল্ডেবল আইপ্যাড। ধারণা করা হচ্ছে যে, ২০২৮ সালের শেষদিকে বা ২০২৫ সালের শেষদিকে এই ডিভাইসটি বাজারে আসবে।
অর্থাৎ সম্প্রতিই অ্যাপল এই ডিভাইসটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। অন্তত তথ্য লিক হওয়ার পর অনেকেই তাই ভাবছেন। আসলে কিন্তু তা না। অন্যান্য জায়ান্টরা বাজারে ফোল্ডেবল আনছে। অ্যাপল সেগুলোর সমস্যা দেখেছে। ফোল্ডের অংশটা এমনিতেও অনেকটা নরম। সেই অংশ নিয়েই কাজ করতে হয়। প্রায় চার বছর ধরে তারা কাজ করছে। আর ভেতরের চালিকাশক্তি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তারা নকশা এখনও চূড়ান্তই করতে পারেনি। মূলত তারা ডিসপ্লে প্যানেল এবং হিনজ নিয়েই বেশি কাজ করছেন। মূলত অধিকাংশ ফোল্ডেবলের হিনজ স্পষ্টই দেখা যায়। অ্যাপল নিঁখুত সৌন্দর্যই ভালোবাসে। প্রতিষ্ঠানটি চাননা যে হিনজ দৃশ্যমান হয়ে বিচ্ছিরি দেখাক। এখন শুধুই অপেক্ষা। ফোল্ডেবল অ্যাপল আইপ্যাড এখন সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে সময়ই বলে দেবে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org