দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরীক্ষায় পাসের জন্য কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা এমন কিছু করে বসে যা সত্যিই বিস্ময়কর লাগে। এবারও তেমনই একটি ঘটনা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর সেটি হচ্ছে পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য উত্তরপত্রে টাকা অফার করেছেন এক শিক্ষার্থী!
বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রীই কঠোর পরিশ্রম করে পড়ালেখা করেন। দিনরাত পড়াশোনায় মগ্ন থাকেন তারা। তবে কেও কেও আবার ফাঁকিও দিতে সিদ্ধহস্ত। পড়াশোনার পরিবর্তে প্রতারণার আশ্রয় নেন অনেকেই। সে কারণে পরীক্ষার হলে নকল করার খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়। তবে এবার সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তরপত্রের ভেতর টাকা রেখে শিক্ষকদের ঘুষ দেওয়ার একটি খভর। -খবর আইজি নিউজের।
সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে। সেখানকার একটি বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য উত্তরপত্রের ভেতর শিক্ষার্থীদের রেখে যাওয়া টাকার ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। ছবিটি টুইটারের শেয়ার করেন আইপিএস কর্মকর্তা অরুণ বোথরা। তা দেখে নেটিজেনদের মত হলো, শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ চিত্রই উঠে এসেছে এই ঘটনার মাধ্যমে।
ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে ১০০, ২০০ ও ৫০০ রুপির কয়েকটি নোট। শিক্ষার্থীরা সেগুলো তাদের বোর্ড পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে রেখে দেয়, যাতে শিক্ষক তাদের পাশ নম্বর দিয়ে দেন।
আইপিএস কর্মকর্তা তার পোস্টে লিখেছেন যে, এই ছবিটি আমার কাছে একজন শিক্ষক পাঠিয়েছেন। পাশ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে বোর্ড পরীক্ষার উত্তরপত্রের ভেতরে নোটগুলো রেখেছিল কতিপয় পরীক্ষার্থীরা। ছবিটি আমাদের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে অনেক কিছুই বলে দিচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org